পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমার বলে, গয়নার দোকানের লোকটা আপনাকে খুব খাতির করে টের পেয়েছিলাম। অন্তরাত্রে ওপর থেকে নেমে এসে চিঠি পড়ে দোকান খুলে হারটা দিল-একটি কথা কইল না । ভবানী হেসে বলে, কথা কইবে কেন ? এমনি গিয়ে হারটা কিনলে উচিত যে দাম লাগত।--তার চেয়ে পঞ্চাশ টাকা বেশী চার্জ করেছে । কুমারও হেসে বলে, তার মানেই হল আগেও আপনি ওভাবে অর্ডার দিয়ে গয়না আনিয়েছেন । লোকটা একেবারে নিশ্চিন্ত ছিল যে দাম তো পাওয়া যাবেই, বাড়তি লাভটাও পাওয়া যাবে। ভবানী এবার চুপ করে থাকে। সমরেশ তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ায় । : ও হে, ভুলেই গিয়েছি। আমার ওদিকে কত কাজ-আমি গোলাম মামা । সমরেশ চলে যাবার পর, কুমার তার কঁাচের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলে, অতিথির জন্য এ জিনিষটার ব্যবস্থা বুঝি নেই? একলাই চালান ? ঃ তোমার চলে নাকি ?

নিজের পয়সায় চলে না-বাজে জিনিষও চলে না । এরকম ভাল দামী জিনিষ। কেউ অফার করলে রিফিউজ করব কেন ?

খাদ্য সরবরাহ করেছিল পোষা মেয়েটি, কি ভেবে তাকে ভবানী পানীয় সরবরাহ করা থেকে রেহাই দেয় । নিজেই আলমারি থেকে বোতল বার করে গ্লাসে ঢেলে অপরদিকে এগিয়ে দেয় । গ্লাসে ঢেলে নিজের জন্য আরও পানীয় তৈরী করে খাওয়ার টেবিলের চেয়ারেই আবার বসে । কুমার তার গ্লাসে একটু চুমুক দিয়ে বলে, রোজ খান ? বেশী হয়, না এক çሣዳ† ♥ማ†ቑ Cተፃ ♥†ጓ ፪

  • )Y8