; তবেই ভুমি আমার দফা সেরেছে। অণিমা হাসে । হাসলে ঠিক সরমার মতই তার সমস্ত মুখে যেন ছড়িয়ে পড়ে হাসিট ।
- খারাপ কিছু করব ভাবলে নাকি ভাগ্নে ? ভুলে যেওনা, আমি দিদির বোন। আত্মীযস্বজনের দিকে একদম তাকায় না মানুষটা-আমি ওকে টের পাইয়ে দেব, আত্মীয়স্বজন আত তুচ্ছ নয়। আপনজনকে বাদ দিয়ে
বড়লোকামি চলে না । তোমায় যদি ও নতুন এক কারবারে কায়েমি না করে
- নতুন একটা কারবার কায়েম করতে কত হাজার টাকা লাগে হিসাব রাখো ?
- সে তোমার মামা বুঝবে।
একটা কথা খেয়াল করে এমনই আশ্চৰ্য হয়ে যায় সমরেশ যে বেশ খানিকক্ষণ সে আনমনা হয়ে থাকে । তার ভাব দেখে অণিমাও কথা কয় না । সরমা অনেক চেষ্টা করেও ভবানীকে টলাতে পারে নি, মৃত মহিমের ছেলে বা তার কারবারের জন্য বিশেষ কিছু করিতে সে রাজী হয় নি। বিপাকে পড়ে বোনেরা এসে ঘাড়ে চাপিতে পারে অনেকটা এই আশঙ্কায় তার ব্যবসার মাদ্রাজের ব্রাঞ্চে সমরেশ্নের একটা ব্যবস্থা করে দিতে রাজী হয়েছিল। নন্দিতা মামী হয়ে চেষ্টা করে তাকে দিয়ে কারবারের সর্বনাশা গ্ৰাস থেকে অন্তত বাড়ীটা রক্ষা করে কারবার গুটিয়ে রেহাই পাবার ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছিল । তারপর অণিমা মামী হয়ে এসে একেবারে পাণ্টে দিয়েছে ভবানীর মনোভাব-তার অচল অবস্থা সচল করে দেবার দায় নিতে ভবানী রাজী হয়েছে। স্বামীকে এমনিভাবেই বশ করে ফেলেছে অণিমা ! 8 8bም