পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃঃ আমি বললেই কুমার রাজী হবে। ; ওকে বলে রাজী করা। এত মাথার চর্চা করেও মাথা চর্চার দাম পেল না-ওকে সুযোগ দিলেই প্ৰাণপাত করে খাটবে। ওর মাথা খাটানো তোর কারবার দাড় করানোর মস্ত একটা হেলপ হবে। অনেকক্ষণ নীরব থেকে সমরেশ বলে, মামা, তুমিই তবে আমাকে দিয়ে নিজের আর একটা কারবার ষ্টার্ট করাচ্ছ ? ভবানী হেসে বলে, সাধে কি বলি ছেলেমানুষ, গোমুখ্য ? সব লাভ যাবে। তোর পকেটে, আমি যে টাকাটা লাগাব সেটা উঠে আসবে কিনা সন্দেহ, আমি নিজের আরেকটা কারবার ষ্টার্ট করছি ? আমার লাগানে টাকাটা যাতে উঠে আসে একটুকু আমি দেখব। শুনব-লাভের এক পয়সা ভাগ চাইব না । সমরেশ বলে, ভাগাভাগির একটা ব্যবস্থা রাখলেই আমি কিন্তু খুন্সী হতাম মামা । তোমার টাকাটা যাতে উঠে আসে, লাভও যাতে হয়, সেদিকে তোমার নজর থাকত। তুমি যেন শুধু দায় সারছি, কিছু টাকা জলে ফেলতে হবেই জেনে আমার ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দিচ্ছি । ভবানী খানিকক্ষণ চুপ করে থাকে। তারপর গম্ভীরভাবে কড়া সুরে বলে, এই মেয়েলি আহিলাদিপনা ভাবটা তোকে শুধরে নিতে হবে-নইলে কোনদিন কিছু করতে পারবি না। এটুকু বুদ্ধিও তোর নেই যে বুঝতে পারিস, আমি যা করছি আমার নিজের হিসাবেই করছি ? আমি দায় সারছি, না তোকে দয়া করছি, না মায়া করছি।-ওসব নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার কি ? একটা সুযোগ পেয়েছিস, সেটা কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগে যাবি-আমি কেন কি করি সে ভাবনা তোর কেন ! মেয়েলি আহিলাদিপনা ? সমরেশ মাথা নীচু করে বসে থাকে। ভবানী চা আর কেক আনিয়ে দিলে তার মনে হয়, নিজের খিদে তেষ্টার ব্যাপারটা পর্যন্ত সে ভুলে থাকে, ভবানী চা কেক আনিয়ে দেবার পর খেয়াল হয়। N KO Nò