পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রেস চালু করা মাত্র কাজের বেশ চাপ পড়েছে। এসব বিষয়ে ভবানী দিলে দেবার মানুষ নয়। সমরেশকে দিয়ে ছাপাখানা চালাবে স্থির করার পর সে ছাপার কাজও যোগাড় করেছিল যথেষ্ট । কুমার গেলি প্রাফের একটা তাড়া নিয়ে এসে সমরেশের টেবিলের সামনে অধনীস্থ কর্মচারীর মতই দাড়িয়ে নিম্পূহ ভাবে জিজ্ঞাসা করে, এ প্রািফ কি আমরা দেখে দেব, না। ওরা দেখবেন ? সাত দিনের মধ্যে এটা ছাপিয়ে দিতে হবে, ভবানীবাবু ফোন করে জানিয়েছেন। ওদের প্রাফ দেখতে দিলে কিন্তু সাতদিনের মধ্যে কিছুতেই ছাপানো যাবে না । নন্দিতা তামাসার ভঙ্গিতে দু’হাত তুলে নমস্কার জানিয়ে বলে, কেমন আছেন কুমারবাবু? সমরেশের প্রেসটা চালু করতে আপনিও উঠে পড়ে লেগেছেন দেখছি । কুমার শুধু মাথা নত করে বলে, নমস্কার। ভাল আছেন ? আমি এখানে চাকরী করি । নন্দিতা খিল খিল করে হেসে উঠতে কুমার ও সমরেশ আশ্চর্য হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। এমন ছেলেমানুষী তামাসা, দু’জন ঘনিষ্ঠ অন্তরঙ্গ মানুষের শুধু চেনা-পরিচয় থাকা ভদ্রতার ভান করা—তাতেই আমোদ পেয়ে এমনভাবে হেসে উঠতে পারে নন্দিতা ! ভবানী অণিমাকে বিয়ে করায় সত্যই সে কি তবে খুশী হয়েছে, মুক্তির স্বাদ পেয়েছে ? অথবা হাঙ্কা হয়ে গেছে তার প্রকৃতি ? হাসি থামিয়ে চারদিকে কৰ্মব্যস্ত মানুষগুলির দিকে চেয়ে লজ্জা পেয়ে নন্দিতা নীচু গলায় বলে, অমন করে তাকিও না দু’জনে । নন্দিতা আজকাল লিজও পায় । কুমার সমরেশের দিকে তাকিয়ে সোজাসুজি প্রশ্ন করে, প্রািফ পাঠাব। কি Yves