পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসন পেতে তার খাওয়ার জন্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে মাছ, মাংস পোলাও ডাল তরকারী ভাজাভুজি বনমালী ফোকলা / মুখে এক গাল হাসে, বুঝেছি দিদিরা, বুঝেছি। তোদের বুনো দাদু এসব খেত তিরিশ বছর আগে। তোমাদের তো মনে থাকার কথা বড়দিদি মেজদিদি ? মহিমকে কিভাবে সামলাতে হত। পেটে যায়গা নেই, মুখে রুচিছে বলেই খেয়ে চলেছে। বনমালী আরও ব্যাপকভাবে হাসে, নাতনী তোমরা, গিমী হয়েছ, তবু তোমরা বুঝবে বৈকি। যোয়ান যোয়ান যে শালাদের জন্য আসলে এসব রোধেছ, তাদের খাওয়াওগে না ? এ বুড়োকে নিয়ে মিছিমিছি টানাটানি কেন ! তারা কেউ ভাবতেও পারে নি বনমালী এভাবে তাদের যড়যন্ত্র ঘায়েল করে দেবে । মহিম চিবদিন তার সঙ্গে অধীনস্থ কর্মচারীর মত ব্যবহার করত । বাড়ীর সকলের সামনেই যখন তখন কত তর্জন গর্জন করত। আর KDB SB DBDBD BBDB BDYLDB DBDB LDS DD DBD DDBDBB DD মেয়েদের । তবে, এটাও অবশ্য ঠিক যে বাড়ীর অন্য কেউ বনমালীকে একটা কড়া কথা শোনালে, তার সঙ্গে কর্তালি মার্ক কোনরকম রুঢ় ব্যবহার করলে মহিম ক্ষেপে যেত । বনমালীর সামনে দাড় করিয়ে ক্ষমা চাইয়ে নিয়ে তবে বাড়ীর মানুষকে রেহাই দিত । ক্ষমা চাওয়ামাত্ৰ বনমালী কি ভাবে ক্ষমাপ্রাথিনীকে শীর্ণ দেহের শক্ত পাজরায় জড়িয়ে ধরে একটু ধমকের সুরেই বলত-মহিম, কি পাগলামি করছি ? সে স্মৃতিও মন থেকে মুছে যায় নি। যাবার কথাও নয় । মহিম হিসাব করত না, যে মেয়েকে ক্ষমা চাইতে এনে দাড় করিয়েছে সে যুবতী না বালিকা ৷ ক্ৰমাগত মেয়ের বাপ হতে হতে সে বোধ হয় So