পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবে শুধু গায়ে জড়িয়ে পথ চলতে তার বিশ্ৰী লাগে, থেকে থেকে গায়ে যেন কঁাটা দেয়। আঁচলটা বার বার এ-কঁধ থেকে ও-কঁধে চালাচালি করে। সুমিত্ৰা প্ৰায়ই জিজ্ঞাসা করে, এত চেষ্টা করেও কিছু সুবিধা হল না ? কিছু না হলে তো ডুবে যাবে। সমরেশ শুধু বলে, ডুবে যেতে বাকী নেই, এখন শুধু উঠবার চেষ্টা। ঃ একটা চাকরী নিলেও তো পারি ? : এতকাল ধরে এত কষ্ট করে। যেমন তেমন একটা চাকরী তো নেওয়া যায় না । কোন লাভ নেই ওরকম চাকরী নিয়ে । কুমার মাঝে মাঝে আসে। নিজের স্বাস্থ্য খরচ করে এতগুলি পরীক্ষা পাস করে তাকে একটা মাষ্টারি নিতে হয়েছে। পচাত্তর টাকা বেতনে একটা কেরানীগিরি মত মাষ্টারি। ওই চাকরি থেকেও আবার তাকে বিদায় করার আয়োজন চলছিল । টুইশনের হিসাব ধরলে আরও কযেকটা টাকা-কিন্তু তার মাসিক ব্যয় cाफुटुमा फ्रोकाद्र भऊ । ওই চাকরীটা চোখ কান বুজে না নিয়ে সংসার চালাবার উপায় ছিল না। কুমারের ! স্বাস্থ্য নষ্ট হযেছে । অথচ দরকার মত টাকার ব্যবস্থা হয় নি । ছুটির দিনেও কুমারকে তার নিজের ছাত্র পড়াতে বেরিয়ে পড়তে হয়। আত্মীয়তা বন্ধুত্বের জোর খাটিয়ে চাকরী যারা দিতে পারে তাদের বাড়িতেও কুমারকে হাঁটাহঁটি করতে হয়—যদি ভাল কিছু জুটে যায় এই আশায় । সবদিন এসে সুমিত্র সমরেশের নাগাল পায় না । শ্ৰীতি কেমন করে টের পায় কে জানে যে সুমিত্ৰা এসেছে। নিজের কাছে ডেকে পাঠায় । Seo