পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকলের ধারণা জন্মেছে যে বিয়ে করে সংসারী হলে তার ছেলেমাচুবি ভাব কেটে যাবে, দায়িত্বজ্ঞান জন্মাবে, একটা কোন কারবার আবার খাড়া করতে পারবে বাপ দাদার পথ অনুসরণ করে। নন্দিত যে কেন প্ৰায়ই সমরেশের সঙ্গে গল্প করতে আসে । মামী হয়েছে, আর ভাবনা নেই। কিন্তু সে আসে যায় বলেই হয়তো সমরেশের মনটা সুমিত্রার দিকে যাচ্ছে না। কে বলতে পারে ! নন্দিতার সমাদর কমে গেছে। সকলের ব্যবহারে তুচ্ছ করার ভাবটাই স্পষ্ট । কিন্তু নন্দিতা যেন গ্ৰাহও করে না । LBDuD DBD DDDBB BBD D BDS মাথা ধরা কি কে জানে। শূলবেদন পেটে হয়, দাতে হয়।--মস্তিষ্কেও যে হয়। সময়ে শের জানা ছিল না । নন্দিত এসে খাটে বসে। বিরস মুখে জিজ্ঞাসা করে, আমার শরীর এত খারাপ হয়ে যাচ্ছে কেন বলতে পার ? ঃঃ আমি কি ডাক্তার ? ডাক্তারকে দিয়ে শরীরটা পরীক্ষা করালেই জবাবটা বেরিয়ে আসবে। য

আসবে কি ? কারণটা শরীরে না মনে সেটাই যে বুঝতে পারছি না । কোন ডাক্তার দেখাব-শরীরের ডাক্তার না মনের ডাক্তার ?

ঃ কুমার কি বলে ? ঃ কুমার বলে মনের ডাক্তারকে দেখাতে । মনের ডাক্তার মানেই নাকি শরীর প্লাস মনের ডাক্তার-শরীরের ডাক্তার না হয়ে নাকি কেউ মনের ডাক্তার হতে পারে না । মনটাও নাকি আমাদের শরীরেরই একটা বিশেষ অঙ্গ ।

এক হিসাবে তাই বৈকি। শরীরে ওষুধ দিয়ে মনটাকে কষ্ট্রোল করা

Nep