পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ে দাঁতগুলি ঘষে ষোজে চলেছিল প্ৰায় আঘ শতাব্দীর অভ্যাসের জোয় টেনে । সামনে দাড়িয়েছিল আঁটোসাটাে পোষাক পরা বিৱাম। এ রকম টাইপ পোষাক সচরাচর চোখে পড়ে না, সে যেন সর্বাঙ্গে সংসারত্যাগীদের একমাত্র অবলম্বন ল্যাঙ্গট এটেছে সার্ট আর প্যাণ্টের কায়দায় ।

বৌদিকে নিতে এসেছি। দেৱী করতে পারব না । মোড়ে ট্যাক্সি দাড়িয়ে আছে। খবর দাও তো গিয়ে। এখুনি যেতে হবে, আধাঘণ্টার মধ্যে ।

বনমালী দাত ঘষতে ঘষতেই বলেছিল, তোমার নাম কি হে ছোকরা বাৰু? কোন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসেছ ? ব্রততীৱ বোধ হয় জানাই ছিল। ব্রততী বোধ হয় তৈরী ছিল, আড়ালে छिन । বাইরে বেরিয়ে এসে বলেছিল, এ আমার দ্যাওর বুনো দাদু । আমায় নিতে এসেছে । বেশ তো । এসে গিয়ে । যাত্রা শুভ হোক । টুক করে ভেতরে ঢুকে সনমালী সদর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। দ্যাওরের সঙ্গে ব্রততী এভাবে শ্বশুরবাড়ী যেতে চায়-যাক । তারা পাচ মাসের ছেলে এখানেই থাক । তার জিনিষপত্র বাজ প্যাটরাও थांक । দুহাতে দরজা ঠেলে ঠেলে চাপড়িয়ে চাপড়িয়ে পাগলিনীয় মত ব্ৰততী অনেকক্ষণ চেচিয়েছিল, দরজা খোল, শীগগির দরজা খোল । বনমালীর বিনয়নম্র অনুরোধ উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত দরজা খুলেছিল কল্যাণী । বাড়ীতে ঢুকেই ব্রততী বনমালীকে আঁচড়ে কামড়ে দিয়েছিল । লাথি চড়ি মেরেছিল। বিরাম তাকে ফেলেই হয়তো গলির মোড়ে দাড় করানো ট্যাক্সিতে পালিয়ে যেত।-কিন্তু তারও তো বয়স কম। যতই বিকৃত SR