পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুমতি বলে, পাড়ায় কারো বাড়ি গিয়ে বসে থাকবে-রাগ পড়লেই ফিরে আসবে । পোলাও মাংস রান্না করা বাকী থাকে না । মস্ত বড় রুই মাছের খঔগুলি প্ৰীতি শুধু ভাজা করে দিয়ে খরচ বাঁচাবে ঠিক করেছিল-অনেক আলু পেঁয়াজ মশলা সহযোগে সেগুলো দিয়ে শেষ পৰ্যন্ত কালিয়া ৱান্না হয় । রাগে গা জ্বলে যায়, সেই সঙ্গে সমরেশের মনে হয় যে তার মত বোকা বোধহয় জগতে নেই। অপচয়, আর বাড়তি খরচের জন্য ওদের সঙ্গে বিকাব্যকি না করে সোজাসুজি ওসব খরচ দিতে অস্বীকার করলেই চুকে যেত। টাকা তো থাকে তার কাছে । এদিকে বকাবিকি করবে। আবার খরচগুলি সব চোখকান বুজে জুগিয়েও যাবে, তবুও নিজেদের স্বভাব ওরা নিজে থেকে শুধরে নেবে ওরা কি তেমন भांश् ! ওরা তো জানিয়েই দিয়েছে ভাল খাওয়া ভাল পরা ওদের ন্যায্য অধিকার, উচিত পাওনা । কিন্তু প্ৰীতি সত্যই রাগ করে চলে গেল, তার বাড়িতে সত্যই আর থাকবে না ? অথবা সুমতির কথাই ঠিক, রাগ কমলে ফিরে আসবে ? বেলা বাড়ে। মহাসমারোহে ভোজ খাওয়া হয়। সমরেশ শুধু ডাল তরকারী আর এক টুকরো মাছ দিয়ে সাদা ভাত খায়। সে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে তার মত গরীব মানুষের পেটে পোলাও মাংস সইবে না । প্ৰণতি খিল খিল করে হেসে উঠে বলেছিল, এটা তোমার খেয়ালখুলীর কথা ! প্রীতি বাড়ি ফেরে বিকালে । ততক্ষণে সকলেই তার জন্য রীতিমত অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছিল । সমরেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিল সকলের চেয়ে রেশী-কারণ, তারই কেবল বার Str.