পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্গে মহিম মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল, উভয় পক্ষ থেকে প্ৰীতি ট্রাঙ্ক সুটকেসই পেয়েছিল ডজনখানেক । একটা ঘোড়ার গাড়ীতে কি আঁটবে তার জিনিষপত্র ? শ্ৰীতি বলে, না না, সব জিনিষ নেব না। শুধু একটা বাক্স, একটা সুটকেস-বিছানা আর টুকিটাকি জিনিষ। চিরদিনের জন্য যাচ্ছি নাকি আমি বাপের বাড়ি ছেড়ে ? বেশী রাত্ৰে নন্দিতা আসে । সমরেশকে সাস্তুনা দিয়ে বলে, ভেবে না। কিছুকাল থাক না। আমার কাছে ? বেচারার জীবনে পরের সংসার নিয়ে মেতে থাকা ছাড়া কোন রস কষ বৈচিত্ৰ্য নেই । ৪ জালিয়ে মারবে । না। আমায় বঁাচাবে, মাকে বাচাবে। সংসারের সব ঝনঝাট ঘাড়ে নেবে । আমি জানি তো ওকে । খরচ বাড়িয়ে দেবে দাশগুণ । পারবে না । স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে তোমার মামা আর চাইলেই আমায় আবোল তাবোল টাকা দেয় না । মাসিক বরাদের এক পয়সা বেশী দেবে না। শুনে কি বলল জানো ? সব পুরুষেরাই নাকি এক ছাচে গড়া, যত না দিয়ে পারে । সেইজন্য মান্য মমতা না করে যত পারা যায় আদায় করে নেওয়া উচিত। দরকার হলে ব্যাটাছেলেদের সঙ্গে ছোটলোকামি করলেও দোষ নেই । সমরেশ একটু ঝাঝের সঙ্গেই বলে, তোমরা মেয়েরা ভারি ইয়ে। এতকাল দিব্যি মুখ গুজে কাটিয়ে দিতে পারল, বিরামের কাছ থেকে খোরপোষের টাকাটা পাবে ঠিক হতেই বিদায় নিল । তোমরা মেয়েরা বড় স্বাৰ্থপৱ ।