পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছরখানেক পরে । হস্তায় দু'তিন দিন দু’এক ঘণ্টার জন্য প্ৰেসে আসত, কাজকর্মের হিসাব জানত। আর ব্যাপার বুঝত-প্ৰায় নিয়মিতভাবে। মাস দু’ই সে প্ৰেসে আসে না । সমরেশ মাঝে মাঝে পরামর্শ চাইতে কিম্বা এমনি দেখা করতে গেলে পরামর্শ দিতে কিম্বা প্রেসের বিষযা নিয়ে আলোচনা করতেও বিশেষ উৎসাহ gथ सों की । মাঝে একটু বিরক্তি প্ৰকাশ করেই বলে, কতদিকে মাথা ঘামাবো বল ? আমার কি একটা দায় ? সব ঠিকঠাক করে দিলাম, অ্যাদিন দেখিয়ে শুনিয়ে শিখিয়ে দিলাম, এবার নিজে চালিযে যা । মুখে সে যাই বলুক সমরেশের টের পেতে কষ্ট হয় না যে প্রেসের জন্য মাথা সে ভাল করেই ঘামাচ্ছে ! প্রেসের আয়-ব্যয্যের হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে তার যে বৈরাগ্য জন্মোনি সেটা জানা যায় কুমারের কাছ থেকে। নিজে এসে সমরেশের কাছে ব্যাপার বোঝার বদলে সে কুমারকে তলব করে নিয়ে গিয়ে তার কাছে ব্যাপার জেনে নেয় । প্ৰকাশ্যভাবেই করে, কোন রকম গোপনত চালায় না । প্রেস ও প্ৰকাশনীর কাগজ-কলমে মালিক সমরেশের কাছে নোট পাঠায় যে কুমার যেন এতটা বেজে এত মিনিটের সময় তার সঙ্গে আপিসে গিয়ে (थ कg । কুমার যথাসময়ে দেখা করতে যায়। ভবানীর সঙ্গে, সমরেশ যায় মামা বড়িতে অণিমার সঙ্গে কথা বলতে । সর্বদা ব্যবহার করে তার সাহেবী পোষাক দু’টির চাকচিক্য নষ্ট হয়ে এসেছিল, ক্ৰমে ক্রমে সে টের পেয়েছিল যে এই পোষাকে সাধারণ একটা ছাপাখানা আর সাধারণ বাংলা বই ছাপার কাজ তদারক করতে যাওয়ার মানে হয় না । Sክሦዒ