পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুদিন থেকে সে দেশী বেশেই প্ৰেসে আসছিল। ভবানী শুধু জিজ্ঞাসা করছিল, পোষাক ছাড়ালি কেন ? ঃ ছাড়ি নি, তুলে রেখেছি। কারও সঙ্গে দেখা করতে হলে পোষাক পরেই যাই। প্রেসে ও পোষাকে এসে কি হবে ? প্রেস খুব বড় হোক বইগুলো চলুক-তখন ওই রকম পোষাক পরে আসব। ভবানী আর কিছু বলে নি । সময় অসময় হিসাব না করে যখন সে যাক অণিমা খুন্সী হয়ে বলে, এসো ভাগ্নে, এসে । কাজের সময় কাজ ফেলে এলেই সবচেয়ে ভাল লাগে । প্ৰমাণ পাই কিনা যে সত্যিকারেব টান আছে । ঃ তোমার টানের মান যে, ওদিকে রাখতে পাবছি না ছোটমামী । সরমাকে সে শুধু মামী বলত, নন্দিতাকে বলে নতুন মামী। অণিমার ছোটমামী নামটা তার জন্যই চালু হযে গেছে। অণিমা বলে, তাই মুখ এমন শুকনো ? ব্যাপারটা কি শুনি ? সমরেশ বলে, তুমি তো মামাকে দিযে ব্যবস্থা কবিয়ে দিলে। আমি যে এদিকে চালাতে পারছি না ? উন্নতি করা দূরে থাক, লোকসান দিয়ে যাচ্ছি । মামা বোধ হয়। আর টানবে না, অপদাৰ্থ বলে এবার আমাকে বাতিল করে দেবে । অণিমা একটু হেসে বলে, ইস, বাতিল করে দিলেই হল । আমাকেও তাহলে বাতিল করতে হবে ।

কিন্তু মামাই বা এভাবে কদিন টানবে বল ? আমি যে পারছি না সে

দোষ তো মামার নয় । মামা অনেক করেছে । ঃ ছাই করেছে। এমন ব্যবস্থা করে দেওয়া কোন যা চলে না, তোমার মত চালাক চতুর খাটিয়ে ছেলে প্ৰাণপণ করেও যা চালাতে পারে না ! কে পায়ে ধরে বলেছিল। ছাপাখানা করে দিতে ? অন্য কোন ব্যবস্থা করে দিলেই হত ! Y britar