পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেওয়ার জন্য যেদিন রাগের মাথায় সতেজে সারমা সুন্দরীকে ভৎ‘সনা করেছিল। এবং ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে মরে গিয়েছিল । ভুবনের মা চা খাবার নিয়ে আসায় বাধা পড়েছিল অণিমার কথায়। চা কয়েকটি বিস্কুট আর দু’টি টাটুকা সন্দেশ। ছোটমামার বাড়িতে একেবারে যেন পাণ্টে গেছে চা খাবার খেতে দেবার ব্যবস্থা । অণিমার নয়া ব্যবস্থা ? অণিমা তার আসল কথায় ফিরে এসে বলে, পেগ দিলাম, গোলাসে একবার চুমুকও দিল না। চােখ পাকিয়ে কড়া সুরে জিজ্ঞেস করল, সারা দুপুর নাকি পাড়া বেড়িয়ে বজ্জাতি করে বেড়াও ? আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝলাম মানুষটার মনের ভাব। রাগ না করে তাই বললাম, দুপুরবেলা খালি বাড়িতেই বজাতি করা সহজ, পাড়ার মেয়ে বেীদের সঙ্গে ভাব করলে কি বজাতি করার সুযোগ মেলে ! তোমার মামা কি বললে জানো ? মেয়েদের সঙ্গে ভাব কর না ছেলেদের সঙ্গে স্ফুর্তি কর ? শুনেই আমি লাথি মেরে পেগের গ্লাসটা আছড়ে ফেলে দিয়ে ঘরে গিয়ে দরজা দিলাম। রাতে পাঁচ ছ’ বার ডাকল, কত মিনতি করল, আমি আর সাড়াও দিলাম না । কোথায় শুযে ঘুমিযেছিল। কে জানে, শেষরাত্রে দরজায় কী ধাক্কা-দরজা খুলতেই কি করল জান ? সমরেশের কল্পনা ভোতা হয়ে গিয়েছিল, সে চুপ করে থাকে। অণিমা বলে, একেবারে পায়ে ধযে বলল, অন্যায় করেছি, এবারের মত মাপ কর । সমরেশ জিজ্ঞাসা করে, তারপর ? ওইখানেই শেষ হয়ে গেল ? পায়ে ধয়ে মাপ চেয়ে মামা নিজের বিছানায় ঘুমোতে গেল, তুমি নিজের গোসাঘরে ঘুমিয়ে রইলে ? অণিমা রেগে বলে, মনে হচ্ছে তুমি সত্যি সত্যি বোকা-হাবা। একটা Nòdè