পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ বাড়ীতে একমাত্র সেই চব্বিশ ঘণ্টা ব্লাউজ পরে । খামটা হাতে নিয়ে মহিম বার বার ব্রততীর হেঁট করা মুখের দিকে : চেয়েছিল। কে জানে কি ভেবেছিল মহিম। সমরেশ আজও ভেবে পায় না। খুব ছোট ছিল। কিন্তু চোখের সামনে আজও জল জল করছে এই সব দৃশ্য। খাম খুলে চিঠিটা আগাগোড়া দু’বার পড়েছিল ধীর ভাবে। পত্ৰখানা জামাইয়ের । নাতিকে দেখার জন্য তার বাবা নাকি পাগল হয়ে গেছে -যায় যায় অবস্থা । ডাক্তারা পরামর্শ করে নাকি তাকে বলেছে যে নাতিকে তাড়াতাড়ি আনা দরকার । , তারপরেই বোক চেপেছে নাতিকে আনবার । বসে বসে হিসাব করেছে। ষে কে যাবে, কোন ট্রেনে যাবে, কিভাবে কত তাড়াড়াড়ি আনা যাবে কলকাতা থেকে নাতি আর তার মাকে । মহিম উঠে দাড়িয়েছিল, বোধ হয় ব্রততীকে একটা চাপড় কষিয়ে দেবার জন্যই, বনমালী উঠে এসে তাকে ধরে জোর করে বসিয়ে দেবার পর সে ব্ৰততীকে বলে, আজকেই চলে যাবি। আর কোনদিন আসৰি না । এমন চিঠি যে চেপে রাখে। সে আমার মেয়ে নয়। এই সোরগোলের মধ্যেই হঠাৎ টেলিগ্রাম এসে গিয়েছিল যে ব্রততীর শ্বশুর। भद्ध c१ioछ । টেলিগ্রামে ও এ নির্দেশও ছিল যে তাড়াহুড়ো করে ব্রততীব্র যাবার দরকার নেই। বিরাম পাগলের মত চীৎকার করে বলেছিল, আমি তবে কি করব ? মহিম বলেছিল, কি আবার করবে, সন্ধ্যের গাড়ীতে ওদের নিয়ে রওনা হয়ে যাবে । বিরামের মাথা ঘুরছিল, কান্না আসছিল-দু’হাতে মুখ ঢেকে সে বসেছিল চুপচাপ।