পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসল ব্যাপার না জেনেও এসব তুমি জানলে বুঝলে কি করে । বেচাৱাকে { বঁাচাবার জন্য কত চেষ্টা করলাম। কিছুতেই কিছু হয় না । ঃঃ আসল ব্যাপার। আমি আগে থেকেই সব জানি । ছোটমামা আসলে { তোমাকেই চায়। আগের মামীকে ভুলিয়ে দেবার সাধ্য কেবলমাত্র তোমার ছিল--নতুন মামীর সে ক্ষমতা নেই। নন্দিতা সোজা হয়ে বসে বলে, তবে আর কেন ভূমিকা করছি, খোলাখুলি বলেই ফেলি। অনেকদিন ধরে তোষামোদ করে ভয় দেখিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে ওর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। যেই বুঝলো ওভাবে আমায় তেজানো যাবে না, আমনি সুব পাণ্টে দিল। টাকাব্য দরকার জানিয়ে চিঠি পাঠাই-চেক পাঠায না ।

সমাবেশ নীরবে চেযে থাকে ।
বেশ মিষ্টি করে চিঠি লিখে জানায় যে একটু অসুবিধা আছে, চাব পাচদিন পবে চেক পাঠাবে। ক’দিন অপেক্ষা কবে আমি গিযে তাগিদ দিই, একেবারে যেন আকাশ থেকে পড়ে বলে-ও হে, একেবারে ভুলে গেছলাম, কাজের চাপে মাথা কি ঠিক থাকে কাল পাঠিয়ে দেব । চেক কিন্তু পাঠাল না। মান খুইয়ে আবাবা গেলাম-বলল যে চেক তো সে ডাকে পাঠিয়ে দিয়েছে, ডাকের নিশ্চয় গোলমাল হযেছে। ব্যাপারটা বুঝতে পারছি ? একটা সাদা খামে ভরে হাজার টাকাব বিয়াবর চেক আমাকে পাঠিযেছে-ঠিকমত পেয়ে গেছি। কতরকম অজুহাত দিযেই যে ক’দিন ধরে আমায় নাচাচ্ছিল

সমরেশ ধৈৰ্য হারিয়ে বলে, আমি সব বুঝে গিয়েছি, আর ফেনিও না । শেষ কথাটা বল । 3 दलछेि । নন্দিতা খোপার দু’তিনটে কঁাটা অকারণে টেনে বাব করে আবার যথাস্থানেই গুজে দেয়। তার যে এত বড় একটা খোপা আছে এটা সমরেশ আজ পর্যন্ত খেয়াল করে নি ।