পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনশন মানেই আত্মহত্যা । আজ রাত্ৰে ভাত হয়নি, সকলের জন্য রুটির ব্যবস্থা হয়েছে। গরীবের প্ৰাণ বাঁচানো এই রুটি সমরেশের কাছে খুব দামী খাদ্য-খেতে যতই খারাপ লাগুকি । নিজে চোখে দেখে লাল বা সাদা গম কিনে নিজে গিয়ে কিম্বা নিজের লোককে পাঠিযে চোখের সামনে সেই গম ভাঙ্গিয়ে এনে ঘরে তৈরী রুটি খেতে ভাল না লাগলেও কতখানি মানসিক স্বস্তি যে মেলো-সামনে দোয়ানো দুধের মত অন্ততঃ একটা নির্ভেজাল খাদ্য পেটে যাচ্ছে । তরীতারকারীতে পর্যন্ত কি যে ভেজাল চলছে। ওষুধে ভেজাল, ঘি-এ ভেজাল, মাখনে ভেজাল, দুধে ভেজাল, তেল থেকে শুরু করে সাগুবার্লি এমন কি পান খাবার উপাদান খায়ের টুকুতে পর্যন্ত ভেজাল --তার একটা মানে হয়। ওসবে ভেজাল চালানো সম্ভব, বাকা বুদ্ধি খাটিয়ে কাষদা কানুন খাটালেই হল। অবিকল খয়েরের মত দেখতে হলে এবং খেতেও একটু কষা লাগলে, কে টের পাবে যে ওটা খয্যের নয়-সস্তা রাসাযনিক প্রক্রিয়াব তৈয়ারী করা গঙ্গামাটির সন্দেশ ? কিন্তু গাছে ফলানো তরকারীতে ভেজাল ? টাটকা দেখে দু’সের পটোল কিনে নিয়ে আসে সমরেশ ! সরশ নিটোল সবুজ পটোলগুলি এক রাত্রি তরকারীর ঝুড়িতে কাটিয়েহ জীর্ণ শীর্ণ হযে যায়, বার্ধক্যের ও রুগ্নতার কাটা চোকলার অবস্থা পায় । প্ৰণতি একটু মুচকে হেসে বলে, কদিনের জলে ভেজানো পটোল কে জানে ! দেখে চিনতে পার না দাদা ? কী সুন্দর চেহারা আলুগুলির। কাটার সময় অনেকগুলি ফেলনা যায়। বাইরে ঠিক আছে, ভেতরে পচা, একটা ভুলে দিয়ে দিলে আলুর গন্ধে খাওয शांझ न डब्रकांड़ी । তবু খেতে হয়। পেটে জ্বলছে আগুন । RSS9