পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ress কাজ শেষ হয়, দু’একদিনের মধ্যে ফিরে আসছে জানিয়ে বিদায় 'निम्नक्विारा बड़े अरब निड़ आन न । চিঠি আসে তিনজনের, নিজের নিজের ষ্টাইলে লেখা পৃথক চিঠি কিন্তু তিনটি চিঠিরই মোদ কথাটা এক রকম । জরুরী ব্যাপারে জড়িয়ে গেছে, এখন আর তাদের কলকাতা আসা সম্ভব নয় । একথা স্পষ্টই বোঝা যায়, কারবারের অবস্থা দেখে তারা এমন ভড়কে গেছে যে দায় ঘাড়ে চাপার। ভয়ে তারা কেউ আর শ্বশুরবাড়ীর ধারে কাছে ঘেষতে চায় না । তিন বোনও হঠাৎ যেন নিজেদের ঘর সংসারে ফিরে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে । বনমালী অবশ্য কেবল আর একটা যুদ্ধের আশাতেই বসে ছিল না, অন্য প্যাচ কষার সুযোগও খুজছিল। প্যাচ তার মাথায় আসে, সুযোগও জুটে যায়। কিন্তু কারবারের ব্যাপারে প্যাচ কষ্যতেও কিছু টাকা দরকার হয়। বনমালী কল্যাণীকে বলে, বোমা, তোমায় তো একবার ভায়ের কাছে যেতে হয়। কিছু টাকা আনতে হবে। কল্যাণী বলে, টাকার জন্য ভবানীর কাছে আমাকে যেতে বলছেন ? আমি পারব না । বনমালী বলে, একেবারে মরণ বঁাচনের কথা কিন্তু বৌমা । সামান্য মান অভিমানকে বড় কোরো না। টাকাটা পেলে কারবারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া যাবে। এ সুযোগ ফাস্কে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কল্যাণী বলে, আপনি তো সব জানেন। গিয়ে কি হবে ? টাকা দেওয়া দূরে থাক, হয় তো কথাই বলবে না। তিনি অপমান করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেবার পর দশ বছর একখানা চিঠি লেখেন নি। আমি যেচে সমুকে মাঝে মাঝে মাঝে পাঠাই, ওর সঙ্গে পর্যন্ত ভাল কথা কয় না । R O