পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামান্য একটু রঙ আর গন্ধের ব্যবস্থা করে সুন্দর শিশিতে ভাৱে লাগসই একটা নাম দিয়ে দশগুণ দামে বিক্রি করা হয়। বড় বড় টাকাওয়াল ব্যবসায়ীরা নাকি শক্রি হয়ে কম্পিটিসনে নেমে বড় মামাকে সাবাড়ি করেছিল । বড় মামা কোথায় গেছে কোথায় আছে কি করছে। কেউ নাকি আর জানতে পারে নি। তারপর থেকে । মেজমামা ভাঙ্গা সংসার চালাত । মন্দ নয়-টিন টিন সিগারেট খেত । এক বিশেষ ধরনের সিগারেট । চশমার পাওয়ার বাড়িয়ে বাড়িয়ে অন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। পয়ত্রিশ বছর বয়সে । শুকিয়ে নাকি কাঠিও হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তার নাকি বলেছিল, ওই বিশেষ মার্কার সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। হঠাৎ একদিন মরে গিয়ে সব হাঙ্গামা চুকিয়ে দিয়েছিল। আর ছোটমামা ভবানী আজ দশ বছর তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে না । সে বাড়ীতে এলে ছোটমামী ঘরে গিয়ে খাটে শুয়ে থাকে । দোষ হয়তো সরমার নেই, বেচারীর শরীর খারাপ, মাথা ঘোরা লেগেই আছে। তবু এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কীভাবে যেন মাথাটা বিগড়ে যায় সমরেশের। মূল্যবোধ পাণ্টে যায়, হিসাব নিকাশ উণ্টে যায়। মন স্থির করে নিয়ে সোজা সরামার শোয়ার ঘরে যায়, পা ধরে নেড়া দিয়ে ডাকে, মামী, বালিশ থেকে মাথা তোল । সরমা ঘুমোয় নি। শরীর খারাপ হলে দিনে রাত্ৰে ঘণ্টাখানেকও তার খাটি ঘুম হয়। কিনা সন্দেহ। আধা ঘুম জাগা অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে শুধু বিমিয়ে যায় । উঠে বসে চোখ টান টান করে চেয়ে সরমা বলে, আঃ, তোরাই আমাকে R€k