পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে ভবানীর গাড়ী এসে দাড়ায় তাদের বাড়ীর সামনে । দশ বছর পরে ভবানী 'আজি মহিমের বাড়ীর সদর দরজা পায় হয়ে ८ख्छ75: CछGदक । বাড়ীর ভেতরে যায় না । বাইরের ঘরে বসে সব রকম আদর অভ্যর্থনার চেষ্টা অস্কুরে বিনাশ করে শুধু কল্যাণী আর বনমালীকে ডাকিয়ে এনে কথা বলে । কিছু শোনে না । শুধু কথা বলে। সব কথা বলে কল্যাণীকে । বনমালীকে ডাকিয়ে আনালেও তার দিকে একরকম ফিরেও তাকায় না । কল্যাণী ভয়ে ভয়ে শুধু বলতে গিয়েছিল, ভেতরে গিয়ে বসে, একটু চা-টা Colo– কথা শেষ করতে না দিয়েই ভবানী ভূমিকা সুরু করেছিল ; ওসব টুকিটাকি কথা তুলোনা দিদি, আমার সময় নেই। আমি যে এলাম, তার মানেই হল অ্যাদিনের ঝগড়া বাদ দিয়েছি। মানুষটা মারা গেছে, তোমাদের সঙ্গে আর কিসের বিবাদ ? কিন্তু হঠাৎ গলাগলি ভাব করতে পারব না । কেউ কথা বলে না । কল্যাণী কেবল নড়ে চড়ে বসে । ভবানী মৃদুস্বরে প্রতিটি কথা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করে বলে, তোমরা চলেছিলে একদিকে, আমি চলে গিয়েছি আরেক দিকে । আর কি আমাদের খাপ খায় ? ছেলেকে পাঠিয়ে পাঠিয়ে আমার সঙ্গে খাতির রাখার চেষ্টা করা তোমার উচিত হয়নি দিদি । দিদি । কল্যাণীকে-ভবানী আজ দিদি বলেছে ! : যাক গে। কাজের কথা বলি। আমি সব জানি। টাকা ঢেলে তোমাদের কারবার সামলানো যাবে না । বনমালী এতক্ষণ চুপ করে ছিল, এবার একটু জোর দিয়েই বলতে যায়, আমি যে প্ল্যান করেছি।- RS