পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোরীরা বলে, সময়দা, কেন এমন হয়ে গেলেন ? কেন এমন মুষড়িয়ে গেলেন ? কি হয়েছে সব কিছু খুলে বলুন না। আমাদের, আমরা সব ঠিক করে দিচ্ছি। ! নন্দিতা এবং অন্য কয়েকজন মেয়ে বন্ধু নানাভাবে নানা ভাষায় একই উপদেশ দেয়, দু’চার মাস বাইরে ঘুরে আসুন না ? আপনি গেলে বাড়ীতে কেউ ব্যাটা ছেলে থাকবে না ভাবছেন ? আমরা পালা করে আপনার বাড়ীতে থাকিব-ব্যাটা ছেলের যা কিছু আপনি করেন, সব আমরা করে দেব। প্রৌঢ় ও বৃদ্ধিদের একঘেয়ে গা-বঁাচানো কথা শান্ত নিরুদ্বেগ মুখের ভাব বজায় রেখে শুনে যায়-যেন সবিনয়ে শুনছে । একটা নিশ্বাস ফেলে । মাথা নত করে খানিকক্ষণ যেন গভীর ভাবে চিন্তা করে । ধীরে ধীরে যেন অপরাধীর কৈফিয়ৎ দেওয়ার মত সুরে বলে, কি করব বলুন ? বাবা ছিলেন, আড়ালে ছিলাম। বাবা একলাই সব সামলাতেন। বাড়ীতে এখন আমিই একমাত্র পুরুষ। ছ’টা বোন, তিনটের অবশ্য বিয়ে হয়েছে, দুটো স্বামীর ঘর করে। সেজটাকে স্বামী শ্বশুর নেয় না । তার মানে দাড়াল চারটে বোনকে সামলানো । একটা বিয়াতে, তিনটে অবিয়াতে । DBDSS SDuDD BDD S SBBBS DD gBBB BBBD DB DDD DBDD আছে, মেজ পিসী দুটাে বয়স্থ ধূমশো মেয়ে আর দুটাে বাচ্চা ছেলে নিয়ে আছে। কী করি বলুন তো, উপায় কি ? তার দায়ের ফিরিস্তি শুনে বাক্যহারা হয়ে থাকে প্ৰৌঢ় আর বুড়োর । কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা কথাবার্তায় সমারোহ সুরু করে দিয়ে তারা জীকিয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে আত্মানুসন্ধিতারু প্রৌঢ়টে বুড়োটে খেলায়। সমবারসী যোয়ানদের সমরেশ হাসিমুখে বলে, একদিন এসে দেখে গেলেই পারিস ভাই অবস্থাটা ? আজ পর্যন্ত কটা মেয়ের দায় সামলেছিল বল দেখি 8.