পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শীত কেটে গিয়ে সামনের গরমের দিনে এবার যখন ফ্যান চলবে না, তখন ওরা কি করবে ?

তোমাদের দম আটকে আসে না ?
শীতে কেঁপে মরে ঘুম না। আসার চেয়ে একটু দিম আটকানো চের

द्धाgङा | শীত ! পুরানো হলেও স্তুপাকার লেপ তোষক, তবুওদের শীত ঘোচে না! জগা পিসী উঠেছে । কলে মুখ ধুতে গিয়ে জগা পিসীকে ভিজে কাপড়ে পুব পশ্চিমে উত্তর দক্ষিণে ঘুরে ঘুরে নানা কায়দায় প্ৰণাম করতে দেখে হঠাৎ সমরেশের প্রাণে আশা জাগে-আজ কি কোন বিশেষ দিন, আজ কি তার ছুটি আছে ? পরীক্ষণে খেয়াল হয়, ছুটি থাকলে ক্যালেণ্ডারে আজকের তারিখ লাল রঙে ছাপা থাকত, আপিসে। গতকাল ছুটির নোটিশ জারি না করে কর্মচারী কজনের কাছে সেও কি রেহাই পেত ?

আজ কি গো পিসী ?

ধীরে ধীরে ঘুরে ঘুরে প্রণামের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে যেতে জগা পিসী বলে, পোষ সংক্রান্তি থেকে তো করছি বাবা। মধুর বাপের বাড়ীর নিয়মতোদের নেই। তিনদিন একশো আটবার করে দিকপূজা করতে হবে। রান্নাঘরে গিয়ে পিাড়িতে বসতেই প্রীতি ধোয়াটে পানীয়ের কাপ এগিয়ে দেয় । উনানে চাপানো বার্লির স্যাসপেনটা নেড়ে চেড়ে নামায়। ঠিক যেন মায়ের মত মুখখান । মায়ের মত মুখ কিন্তু মায়ের সঙ্গে কী অমিল নিয়েই গড়ে উঠেছে। ওর @थङ्गठि ! 总切