পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখা হয়েছিল তারকারী। কাজ করবার লোকের কোন অভাব নেই। কিন্তু খুব সকাল সকাল রান্না না চাপালে চলে না। এলুমিনিয়ামের একটা ছোট হাড়িতে মুঠোর হিসাবে কিছু বাছা চাল, চামচ হিসাবে কিছু ডাল আর গুণতি হিসাবে কয়েকটা আলু ছেড়ে দিয়ে প্রীতি ঘুরে বসে। মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করে, পাঁচদিন মাছ আনিস নি। শুধু মুখের স্বাদের কিম্বা সখের ব্যাপার নয় তো। এত খাটছিস-তোরও তো একটু মাছ মাংস খাওয়া দরকার ? পাচদিন মাছ আনিস নি ।

भांछिब या लाभ ! উনানের তলাটা খুচিয়ে দিয়ে গ্ৰীতি বলে, বাজারে গিয়ে কাজ নেই।

পচা হোক যেমন হোক আতপ চাল আছে, এবেল সিদ্ধ-পোড়া দিয়ে চালিয়ে দেব। আধাসেরের মত আলু আছে

কোখেকে এল ? কাল যা আলু এনেছিলাম, রাতে দম রোধে ফুরিয়ে দিস নি ?
দিয়েছি তো। এত ওরা ভালবাসে আলুর দম! পুনুটা তো দমের নামে পাগল । ক’দিন ধরে দম দম করছে সবাই, করব না ? এক হাত ডাল আর দুটো দমের আলু-এই দিয়েই তো শুকনো রুটি গেলা । শাক পাতার বদলে ওইটুকু দিম পেয়েই সবাই কত খুন্সী ! কিন্তু কি জানিস

-

আমি সব জানি, শুধু আলু কোথায় পেলি সেটা ছাড়া।
কোথায় আবার পাব ? জমিয়েছি ।

হাসিমুখে তেজের সঙ্গে কত হাল্কা সুরে কথা শুরু করেছিল, কী ভাবে হাসিটা উপে গিয়ে শুধু তেজের ভাবটা বজায় থাকে ! অবিকল প্রায় মার মত মুখ পেয়েছে, কিন্তু মায়ের ধাতটা একটুও প্রীতি °iध्न नि । (S