পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণ যাবার সময় সে বলে যায় যে খানিকটা চিড়ে আর ভেলিগুড় দিয়ে সকলের রুটি খাওয়ার জন্য যে পিণ্ডটা উনানে চাপানো আছে সেদিকে সে যেন একটু নজর রাখে। কিন্তু শ্ৰীতি ফিরে আসে। অল্পক্ষণের মধ্যেই । প্ৰণতি উঠে বিছানায় বসেই শীত আর আলস্য জয় করে উঠবার আয়োজন করছে দেখে বলে, বলেই ফেলি। ওরা উঠলে আজ আর বলা হবে না। খুব গুরুতর কথা কিন্তু, মন দিয়ে শোন। সবাইকে নিয়ে একলা তুই হিমশিম খাচ্ছিস । আমি ঠিক করেছি। আর তোর ঘাড় ভেঙ্গে খাব পারব না, নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নেব । সমরেশ ভাবে, সর্বনাশ ! কে জানে কি মতবল গজিয়েছে শ্ৰীতির মগজে ? স্বামীর ঘরে ফিরে যাবে ঠিক করেছে নাকি ? প্রীতি রাত্রে সেঁকা রুটিগুলি তাওয়ায় একটু উণ্টে পাণ্টে গরম করে নেয়। তারপর বলে, তোকেও অবশ্য একটু হাঙ্গামা পোয়াতে হবে। তবে আমাকে খাওয়ানো পরানোর হাঙ্গামা থেকে রেহাই পাবি । মাসে মাসে পাঁচ দশ টাকা তোকে সাহায্যও করতে পারব । সমরেশ এবার সত্যি সত্যি রেগে গিয়ে বলে, আবার ফেনাতে সুরু করলি ? সোজাসুজি বল না কথাটা ? প্রীতি দমে না গিয়ে বলে, বড় ব্যস্তবাগীশ তুই ? বলচি কথাটা গুরুতরএকটু ধৈৰ্য ধরে শুনতে পারিস না ? কয়েক মূহুর্ত সে চুপ করে থাকে। তারপর আচমকাই বলে, খোরপোষের भाभब्त कबूद ।

S

সে রকম চমকে বা ভড়কে যায় না। সমরেশ-প্রীতি যে রকম কল্পনা করেছিল। প্রীতি বোধ হয় আজ আরও ভাল করে বুঝতে পারে সংসারের দায় ঘাড়ে নিয়ে ভাইটি তার কম পোড় খায় নি । WS)