পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন চার বছর সময় লেগেছিল নীতির রূপান্তরকে মনে প্ৰাণে গ্ৰহণ করতে । বছর পনের পরে, পঞ্চাশ ডিঙানো বয়সে আজ বিষম রকম পাশার যাদবের । আইনের প্যাচ আর ফকির কৌশল খাটিয়েও সহজে হাসিল না হলে সাধারণ আইন বিশেষ আইনের আওতার উধেবর্ণ যারা আছে, তাদের কোন একজনকে ধরে হুকুম আর ধমকের জোরে অনেক মক্কেলের কাজ হাসিল করে (ሻ፱ ! সমরেশ বলে, তবেই দফা সেরেছিস । শ্ৰীতি একটু হাসে। ঃ তুই দেখি ভড়কে গেলি একেবারে। আমি কি সোজাসুজি উকিল কাকার সঙ্গে পরামর্শ করেছি ? উকিল-কাকার দু’নম্বর বৌটা আমার সই হয় জানিস না ? দু-মাস ধরে মীরাকে দিয়ে কথা চালাচ্ছি। ইসা উকিলকাকাটা কি বজাত রে সমু, কি বলব তোকে ! সইকে দিয়ে আমার দু’একটা গয়না বাগাবার কত চেষ্টা করেছে। সইটা শক্ত মেয়ে নইলে সমরেশ উঠে দাড়িয়ে বলে, বুঝলাম, সারাদিন বাড়ী থাকি না, পাড়ায় ঘোট পাকিয়ে বেড়াস। ওসব কথা বাদ দে দিকি । বিরাম কেন তোকে খোরপোষ দিতে বাধ্য হবে সেই কথাটা বল ? কড়ায়ে ডাল ভাজতে সুরু কয়েছিল শ্ৰীতি । চারিদিক ফর্স হয়ে এসেছে। একে একে ঘুম-ভেঙ্গে উঠে। হাই তুলছে তার পচিশ থেকে তের বছরের আইবুড়ে বোনেরা । মিনতি কেবল বালিশটা আঁকড়ে শুয়ে থাকার চেষ্টা कब्रgछ ७ांकi७ांकि &ांश् न कद्ध । ডাল পুড়ে গন্ধ ছাড়ছে। নাকে কি লাগে না প্রীতির ? প্ৰণতি ছুটে আসে। জগা পিসী গলা চড়িয়ে ডাক দেয়। হঠাৎ আধাপোড়া ডালগুলি নাড়তে সুরু করে শ্ৰীতি বলে, আদালতে R