পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার লজ্জা পাবার কারণটা খেয়াল করে সমরেশ মনে মনে একটু হাসে। সে ভুলেই গিয়েছিল ষে সকাল সকাল হাজির দিয়ে রাত আটটা ন’টায় ছুটি পেলেও আপিসের কাজে এদিকে ওদিকে ঘোরাফেরা করাটাই কানাই-এর আসল ডিউটি । বিয়ের আগে আপিস থেকে কাজে বেরিয়ে দু’এক ঘণ্টা এদিক ওদিক আডিডা মেরে কাটাত, বিয়ের পর আজকাল বাড়ী এসে খানিকক্ষণ বেলার সঙ্গে কাটিয়ে যায় । ট্রাম-বাসের পয়সা খরচ করে। এতদূর আসে। বৌও কোন কোন ৷ মানুষের নেশা দাড়িয়ে যায় বৈকি ! হাঁটু পর্যন্ত নামে প্ৰণতির মোটা চুলের গোছা । সমরেশ লক্ষ্য করে যে লম্বা। আর গোছ থাকলেও প্ৰণতির খোপাট হয়েছে অস্বাভাবিক রকম প্ৰকাণ্ড । তাতে তারার রূপালি গুটি-ওয়াল কঁাটা আটকানো । এই ফ্যাশনের খাটি রূপার গুটিওলা মাথার কাটা সে স্যা করার দোকান থেকে কিনে বা অর্ডার দিয়ে তৈরী করে দেয় নি-কঁটাগুলি পাচ ছ’পয়সা দামের ब्ळ निन् ि। সাগজোজের বেলাতেও এরকম সব ছেলেমানুষী হাল্কা ফ্যাশন রপ্ত করেছে প্ৰণতি । श्रन्ौउिद्भ छांदफन्भ प्रकार । চা আর শুকনো পোড়া রুটি খেয়ে সে কোথায় গিয়েছে। কেউ বলতে পারে না । যাদবের তিনতলা বাড়ীর ছাদের অলিন্দে বসানো। টবের চারা থেকে নেমে BD DDB BDDu BBDDD DBDDBL BDL S আরাম করার সময় নেই। মাথায় একটু তেল দিয়ে তেলে হাতটা শীতে ফাটা গায়ে বুলাতে বুলোতে কলঘরে যেতে যেতে সমরেশ প্ৰণতির জন্য রীতিমত উদ্বেগ অনুভব করে।