পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: সমরেশ খাওয়া বন্ধ করে ব্যাপারটা বুঝবার চেষ্টা করে। হঠাৎ কোন জবাব দিতে ভরসা পায় না । সুমিত্রা বলে, আমিও টের পেয়েছি সমরূদ। দুঃখে কষ্টেও দাদার চিরদিন হাসিখুসীি ভাব তো ? আগে বেপরোয় চালিয়ে যেত।-আজকাল বেশ কষ্ট হচ্ছে জের টানতে । শোন তোমায় বলি। পরশু ছুটি ছিল তো ? ছুটির দিন দাদা ঘরে থাকে না, ধাতে নেই। পরশু অনেক বেলায় বাড়ী ফিরে খেয়ে দেয়ে উঠে সটান গিয়ে শুয়ে পড়ল। আমরা সবাই তো ভয়ে মারি । চারটের পর দাদা যখন বিছানা ছেড়ে উঠল, মুখ ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। চা করে দিলাম, জিজ্ঞেস করলাম, শরীর খারাপ হয়েছে দাদা ? হাসতে পারল না । বলল কি জানো ? বাঃ, বেশ তো হয়েছে। চা-টা । তা” বৃটিশ মালিকদের এত ঘুষ দিয়ে চা খাই-বেশ হবে না ! সুমিত্ৰা কেঁদে ফেলে।

দাদাকে তুমি বঁাচাও সমরদ। আমাদের বাঁচবার জন্য দাদা সুইসাইড

Se সুইসাইড করছে ! কথাটা কানে বাজে। ঝনঝনি করে বাজে। সুইসাইড করার মানে ছিল কেঁকের মাথায় চটপট কোন উপায়ে মরে যাওয়ার চেষ্টা । পরনের কাপড় কেরোসিনে ভিজিয়ে আগুন ধরিয়ে, বিষ খেয়ে, গলায় দড়ি দিয়ে, দোতলা তিনতলা বাড়ীর ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে, বিদেশী ব্লেড দিয়ে শিরা কেটে, কোন লাটকে মারার চেষ্টা করে ফাসি গিয়ে, কতভাবেই না। সুইসাইড চালু হয়েছিল। গত শতাব্দীর জগতে । একটু রকমারি রোমাঞ্চ । ঃ কী ভাবছি সমর্যাদা ? छायgछ ? &obም