পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখ হাড়ি করে মা ও মেয়ে চুপ করে থাকে। ছেলেবেলার বন্ধু, প্ৰাণের বন্ধু নিশ্চয়-সমরেশের চেয়ে কে এতবার এত ঘন ঘন বাড়ীতে এসে এসে বন্ধুত্ব করেছে । সে বলে কিনা কিছুই সে জানে না বন্ধুর এমন নিদারুণ অসুখের ব্যাপার সম্পর্কে । এ কেমন বন্ধু ? বেগতিক দেখে সমরেশ মিনিটখানেক গভীর ভাবনায় ডুবে যাবার ভান করে, পকেট থেকে আনমনে একটা বিড়ি বার করে আনমনে ধরাবার ठeN3 कद्ध । ভেবেচিন্তে জোর দিয়ে বলে, মাসীমা, ভাবছেন কেন ? কুমারকে হাসপাতালে নিয়ে যাব, কাকাকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেব কি হয়েছে। তেমনি কঠিন রোগ হলে কি কেউ গোপন করতে পারে ? মিছে ভাবছেন আপনারা । কুমারের মা যেন আকাশ থেকে নেমে বলে, ওর যে কঠিন অসুখ তুমি তা জান না বলতে চাও ?

ওর কঠিন অসুখ হয়েছে জানিবার পরেও আমি কি চুপ করে থাকতাম মাসীমা ?

দুজনে চুপ করে থাকে। ফেলে ছড়িয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে সমরেশ । মরিয়া হয়ে কুমারের মা বলে ওর অসুখটা তুমি সহজে জেনে আমাদের জানাতে পার সমর । ঃ আমায় কিছু জানতে হবে। দরকার হলে কুমার নিজেই আমাদের জানাবোঁ । বলে সে উঠে দাড়ায়। অর্থাৎ কাল্পনিক রোগ সম্পর্কে মা ও মেয়ের আব্দার উৎকণ্ঠ নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করার সময় বা সাধ্য তার আর নেই। Գo