পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুমিত্ৰা গলা চড়িয়ে প্ৰায় রেডিওর চড়া গানের আর্তনাদের সুরে বলে, দাদাকে বুঝিয়ে দিও সমরদ, রোগ গোপন করতে নেই-চিকিৎসা করে দাদাকে বঁাচাতে আমি মরে যেতে রাজী আছি । কুমার যে রোগা হোয়ে গেছে দেখলেই টের পাওয়া যায়। किरू कठिन अश्५ ? সমরেশ ও রোগ হয়ে গেছে । প্ৰায় শুকিয়ে গেছে তার মুখের যৌবনের শ্ৰীটুকু। বাপের যার বড়লোক বলে খ্যাতি থাকে, অন্যভাবে বেপরোয় অসংযমের বাহাদুরি। আর বিকৃত চড়া স্মৃর্তি ভোগ করার মজায় অপচয় না করলে স্কুল ডিঙ্গিয়ে কলেজ ডিাঙ্গবোর সাধনায় খানিকটা শুষে নিলেও স্বাস্থ্য আর নব। যৌবনের শ্ৰী তার মূলধন থাকারই কথা । কলেজ ডিঙানো স্থগিত রেখে এত বড় দায় ঘাড়ে নিয়ে সমরেশ যে রোগ হয়ে শুকিয়ে গিয়েও স্বাস্থ্য আর যৌবনশ্ৰীর আমেজটুকু আজও বজায় রাখতে পেরেছে, সেটাই তার বাহাদুরি বলতে হবে। আটটা সাড়ে আটটায় সমরেশ বাড়ী ছাড়ে-চা আর একটি রুটি খেয়ে জরুরী দরকার হলে আরও সকালে বার হয়, কিছু হবে না জেনেও আশার তাড়নায় কোন বৃহৎ ব্যক্তির বাড়ীতে যাবে। প্ৰতিদিন নিজের সঙ্গে কি লড়াইটাই তাকে যে করতে হয় জোড়াতালি দিয়ে সংক্ষেপে কাজ। সারার বোকাটা সামলাতে । আসল কাজটা ঠিকমত না করার ঝোকটা বোধ হয় বংশগত, নিজের মারাত্মক রোগটাও জেনে শুনে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে খানিকটা পরিশ্রুত জল আর রঙীন সিরাপ খেয়ে আরাম হওয়ার অন্ধ বিশ্বাসের AT5 | রাত দশটায় বাড়ী ফিরে শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে বরফের মত ঠাণ্ডা জল দিয়ে ዓ S