পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছটফট করছিল ছোট বোন সুনীতি-গুলি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মরতে না পায় । উপরের স্তরের জন্তু আর নীচের স্তরের মানুষের মত। চিকিৎসা আছে । কয়েকটা ইনজেকসনেই সারানো যায়। কিন্তু বেশ কিছু টাকা লাগবে। এতগুলি মানুষের এই বিরাট সংসারের খাওয়া পরা আর মুখ থুবড়ানো কারবারটা চালিয়ে যেতে প্ৰাণপাত করেও কিছুতেই সে ব্যবস্থা করতে পারছে না প্ৰতি মাসে দু’তিন বেলা তার ছোট বোনটার কাটা ছাগলের মত ছটফন্ট করার আধুনিকতম চিকিৎসার। জগা পিসী অবশ্য প্ৰতিবারই বলে, বিয়ে দিয়ে দেন, সেরে যাবে। আমার সারে নি ? বিড়ি ধরিয়ে খবরের পাতায় চোখ বুলিয়ে যেতে যেতে সমরেশ বলে, তোর তো আট বছরে বিয়ে হয়েছিল পিসী । মাসের কষ্টে দু’বার বিয়ে হয়েছিল নাকি তোর ? গ্ৰীতি যাই ভাবুক আর যাই বলুক, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে সমরেশ রোগ झुन्न नि । তাকে কাবু করেছে চিন্তা-জার। বাড়ীতে যতই কড়াকড়ি ব্যবস্থা করে থাক, লোকসান ও ঋণের ভারে টলমল কারবার থেকে খোবল দিয়ে দিয়ে টাকা নিতে যতই তার বিশ্ৰী লাণ্ডক, এটুকু জ্ঞান তার আছে যে এমনিতে যদিও বা সামলে যাবার কোন আশা থাকে, তার দেহ ভেঙ্গে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে একেবারে সর্বনাশ হয়ে যাবে । কুমারের অজানা রোগের খবর জানিবার ভূমিকা-স্বরূপ তার মা তাকে দেহ-রক্ষা সম্পর্কে যে ছাকা নীতিকথা শুনিয়েছিল, সেটা তার কাছে শুধু ANO