পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ রাত্রের আয়াসটুকুর জন্য একটা খাবে, বাকী ন’টাতে চালিয়ে দেবে। তিনদিন এই ছিল তার হিসাব । কিন্তু আর তো কোন দরকার নেই। ওই নিয়ম পালন করার। কাল থেকে সিগারেট ছোবে না-কতকাল ছোবে না কে জানে । কি হবে পয়সা দিয়ে কেনা সিগারেটগুলি জমিয়ে রেখে ভোরে উঠে নর্দমায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে ? তার চেয়ে সাধ মিটিয়ে যাটা খুলী টেনে যাক-শেষ টান না হলেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা সিগারেট টানা । সমরেশের মনেও পড়ে না যে সে পরদিন থেকে সিগারেট একেবারে বর্জন করলেও এমন কিছু মানুষ এখনো তার কারবারের আপিসে আসা-যাওয়া করে যাদের তাকে চ সিগারেট অফার করতে হয় । দু’এক প্যাকেট সিগারেট মজুত রাখতে হয়। নিজের জন্য কেনা বলেই পরদিন থেকে আর সিগারেট খাবে না সিদ্ধান্ত করেছে বলেই, এ প্যাকেটটা ওই কাজে না লাগিয়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া ছেলেমানুষী ছাড়া কিছুই নয়। সমরেশ ভাবে, সত্যি সে কি অমানুষ ? বাপ ঠাকুর্দা কারবার দিয়ে অনেক টাকা কামিয়ে পাড়ার বড়লোক খ্যাতি অর্জন করেছিল বলে, আজও পাড়ার লোকে তাকে বড়লোক ভেবেছে বলে, সে কি মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে নি ? এমনি বিগড়ে গেছে তার চেতনা যে কোনদিন ওই বাপ ঠাকুর্দার মত হতে পারবে না জেনেও খানিকটা ওদের মত হবার জীবন পণ করেছে ? সুনীতির এই প্ৰাণান্তকর যাতনার চিকিৎসা আছে জেনেও কিছু না করেই হাত পা গুটিয়ে বসে আছে ? তার বিছানায় বসে সুনীতি তার দেওয়া আধখানা বড়ি খেয়েছিল। ইতিমধ্যে চোখ তার ঢুলু ঢুলু হয়ে এসেছে।

ঘুমোবি না। সুন্ ? আমাকেও তো ঘুমোতে হবে ? 3 शीछे प्रांज ।

সুনীতি চলে যাবার পর দু’মিনিটের মধ্যে সমরেশ একটা আন্ত বড়ি গিলে ফেলে । চিন্তা-জার আর বেশী ঠেকিয়ে চলার সাধ্য তার নেই। ዓኳ”