তখন অল্প অল্প বৃষ্টি পড়ছে, ঝোড়ো হাওয়াটা গেছে থেমে, মেঘ এসেছে পাতলা হয়ে।
অমিত চৌকি ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললে, ‘এ কী অন্যায় মাসিমা!’
‘কেন বাবা, কী করেছি?’
‘আমি যে একেবারে অপ্রস্তুত। শ্রীমতী লাবণ্য কী ভাববেন!’
‘শ্রীমতী লাবণ্যকে একটু ভাবতে দেওয়াই তো দরকার। যা জানবার সবটাই যে জানা ভালো। এতে শ্রীযুক্ত অমিতের এত আশঙ্কা কেন?’
‘শ্রীযুক্তের যা ঐশ্বর্য সেইটেই শ্রীমতীর কাছে জানবার। আর, শ্রীহীনের যা দৈন্য সেইটে জানাবার জন্যেই আছ তুমি, আমার মাসিমা।’
‘এমন ভেদবুদ্ধি কেন বাছা?’
‘নিজের গরজেই। ঐশ্বর্য দিয়েই ঐশ্বর্য দাবি করতে হয়, আর অভাব দিয়ে চাই আশীর্বাদ। মানবসভ্যতায় লাবণ্যদেবীরা জাগিয়েছেন ঐশ্বর্য, আর মাসিমারা এনেছেন আশীর্বাদ।’
‘দেবীকে আর মাসিমাকে একাধারেই পাওয়া যেতে পারে অমিত; অভাব ঢাকবার দরকার হয় না।’
‘এর জবাব কবির ভাষায় দিতে হয়। গদ্যে যা বলি সেটা স্পষ্ট বোঝাবার জন্যে ছন্দের ভাষ্য দরকার হয়ে পড়ে। ম্যাথু আর্নল্ড কাব্যকে বলেছেন ক্রিটিসিজ্ম অফ লাইফ, আমি কথাটাকে সংশোধন করে বলতে চাই লাইফ্স্ কমেণ্টারি ইন