অমিতর বোন সিসি-লিসিরা ওকে বলে, ‘অমি, তুমি বিয়ে কর না কেন?’
অমিত বলে, ‘বিয়ে ব্যাপারটায় সকলের চেয়ে জরুরি হচ্ছে পাত্রী, তার নীচেই পাত্র।’
সিসি বলে, ‘অবাক করলে, মেয়ে এত আছে।’
অমিত বলে, ‘মেয়ে বিয়ে করত সেই পুরাকালে, লক্ষণ মিলিয়ে। আমি চাই পাত্রী, আপন পরিচয়েই যার পরিচয়, জগতে যে অদ্বিতীয়।’
সিসি বলে, ‘তোমার ঘরে এলেই তুমি হবে প্রথম, সে হবে দ্বিতীয়, তোমার পরিচয়েই হবে তার পরিচয়।’
অমিত বলে, ‘আমি মনে মনে যে মেয়ের ব্যর্থ প্রত্যাশায় ঘটকালি করি সে গরঠিকানা মেয়ে। প্রায়ই সে ঘর পর্যন্ত এসে পৌঁছয় না। সে আকাশ থেকে পড়ন্ত তারা, হৃদয়ের বায়ুমণ্ডল ছুঁতে-না-ছুঁতেই জ্বলে ওঠে, বাতাসে যায় মিলিয়ে, বাস্তুঘরের মাটি পর্যন্ত আসা ঘটেই ওঠে না।’
সিসি বলে, ‘অর্থাৎ, সে তোমার বোনেদের মতো একটুও না।’
অমিত বলে, ‘অর্থাৎ, সে ঘরে এসে কেবল ঘরের লোকেরই সংখ্যা বৃদ্ধি করে না।’
লিসি বলে, ‘আচ্ছা ভাই সিসি, বিমি বোস তো অমির জন্যে পথ চেয়ে তাকিয়ে আছে, ইশারা করলেই ছুটে এসে পড়ে—— তাকে ওর পছন্দ নয় কেন? বলে, ওর কাল্চার নেই। কেন ভাই, সে তো এম. এ.তে বটানিতে ফার্স্ট্। বিদ্যেকেই তো বলে কাল্চার।’