‘সে কথা মিছে নয়। দুইয়ের কানে যেটা এক, পাঁচের কানে সেটা ভগ্নাংশ। বন্যা!'
'কী মিতা?'
‘তোমার নামে যদি কবিতা লিখি তো কোন্ মিলটা লাগাব জান?— অনন্যা।'
'তাতে কী বোঝাবে?'
‘বোঝাবে তুমি যা তুমি তাই, তুমি আর-কিছুই নও।'
'সেটা বিশেষ আশ্চর্যের কথা নয়।'
'বল কী, খুবই আশ্চর্যের কথা। দৈবাৎ এক-একজন মানুষকে দেখতে পাওয়া যায় যাকে দেখেই চমকে বলে উঠি, এ মানুষটি একেবারে নিজের মতো; পাঁচজনের মতো নয়। সেই কথাটি আমি কবিতায় বলব—
হে মোর বন্যা, তুমি অনন্যা,
আপন স্বরূপে আপনি ধন্যা।'
‘তুমি কবিতা লিখবে নাকি?'
‘নিশ্চয়ই লিখব। কার সাধ্য রোধে তার গতি?'
‘এমন মরিয়া হয়ে উঠলে কেন?'
‘কারণ বলি। কাল রাত্তির আড়াইটা পর্যন্ত, ঘুম না হলে যেমন এপাশ ওপাশ করতে হয় তেমনি করেই কেবলই অক্সফোর্ড বুক অফ ভর্সেস-এর এ-পাত ও-পাত উল্টেছি। ভালোবাসার কবিতা খুঁজেই পেলুম না, আগে সেগুলো পায়ে পায়ে ঠেকত। স্পষ্টই বুঝতে পারছি, আমি লিখব বলেই সমস্ত পৃথিবী আজ অপেক্ষা করে আছে।'