পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a শেষের পরিচয় তথাপি আদেশ-উপদেশের কার্পণ্য ঘটেনা। র্যাহারা ততোধিক শুভানুধ্যায়ী তাহারা দুঃখ করিয়া বলেন, ও নাকি আবার কথা শুনবে ! স্বদেশ ও সাহিত্য নিয়েই পাগল । কথা সে না শুনিতে পারে, কিন্তু পাগলামি সারে কি না যাচাই করিয়া আজও কোনও শুভাকাঙ্ক্ষী দেখে নাই । কেহ বলে নাই রাখাল তোমার পাত্রী স্থির করিয়াছি তোমাকে রাজী হইতে হইবে । এমনি করিয়া রাখালের দিন কাটিতেছিল এবং বয়স বাড়িতেছিল। এই প্রসঙ্গে আর একটা কথা বলা প্ৰয়োজন। দর্শন-বিজ্ঞানে যাই হোক, সংসারে আপনার বলিতে তাহার যে কোথাও কিছু মাই এবং ভবিষ্যতের পাতেও শূন্য অঙ্ক দাগ এ খবরটা আর যাহার চোখেই চাপা। পড়ােক, মেয়েদের চোখে যে চাপা পড়ে নাই। এ কথা রাখাল বোঝে। তাই তাই বিবাহের অনুরোধে সে তঁহাদের সদিচ্ছা ও সহানুভূতিটুকুই গ্ৰহণ করে। তঁহাদের কাজ করে, বেগার খাটে, তার বেশিতে প্ৰলুব্ধ হয়না। এক ধরণের স্বাভাবিক সংযম ও মিতাচার ঐখানে তাহাকে রক্ষণ কর্ণর চা খাওয়া শেষ করিয়া রাখাল কেঁচানো কাপড়টী পরিপ পরিয়া সিস্কের গেঞ্জি আর একবার ঝাড়িয়া গায়ে দিবার উপক্রম ক এমনি সময়ে তারক আসিয়া প্ৰবেশ করিল। রাখাল কহিল, বাঃ-বেশ তো! এরই নাম জন্টু পরামর্শ? কোথাও বেরুচো না কি ? /* না, সমস্ত বিকেলটা ঘরে বসে থাকবো । না সে হবেন । বিকেলের এখনো ঢের দেরি-বোসে । না হে না--তার যে নেই। পরামর্শ কাল হবে। এই বলিয়া সে গেঞ্জির উপরে পাঞ্জাবি চড়াইল । তারক তাহার প্রতি ক্ষণকাল চাহিয়া থাকিয়া কহিল, তাহলে পরামর্শ