পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a শেষের পরিচয় ফ্রাকাহঁকিতে দাড়ায় এই ভয় সবিতার সবচেয়ে বেশি, তাই নম্রভাবেই কহিলেন, "আমি বড় অসুস্থ, তাকে বলোগে আজ দেখা হবেন । কিন্তু ফল হইল উল্টা। এই সহজ কণ্ঠের অস্বীকারে রমণীৰাৰু ক্ষেপিয়৷ গেলেন, চেঁচাইয়া উঠিলেন,-আলবৎ দেখা হবে। সে কোটিপতি লোক তা’ জানো ? বছরে আমার কত টাকার মাল কাটায় খবর রাখে ? "আমি বলচি--- t দরজার বাহিরে জুতার শব্দ শুনা গেল এবং চাকরিটা সম্মুখে আসিয়া ध्ड क्षिों (शांश् :ि । সবিতা মাথার কাপড়টা কপাল পৰ্য্যন্ত টানিয়া দিয়া উঠিয়া ধসিলেন। বিমলবাবু, ঘরে ঢুকিয়া নমস্কার করিয়া নিজেই একটা চৌকি টানিয়া লইয়া বলিলেন, শুনতে পেলুম আপনি হঠাৎ বড় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কিন্তু কােলই বোধহয় আমাকে কানপুরে যেতে হবে, হয়ত আর ফিরতে পারবোনা ; আমনি বোম্বাই হয়ে জাহাজে সোজা কৰ্ম্মস্থলে রওনা হতে হবে । ভাবলুম, মিনিট খানেকের জন্যে হলেও একবার সাক্ষাৎ করে জানিয়ে যাই আপনার আতিথ্যে আজ বড় তৃপ্তিলাভ করেচি । সবিতা আস্তে আস্তে বলিলেন, আমার সৌভাগ্য। লোকটির বয়স বছর চল্লিশ, চুলে পাক ধরিতে সুরু করিয়াছে কিন্তু সযত্ন-সতর্কতায় দেহ স্বাস্থ্য ও রূপে পরিপূর্ণ, কহিলেন, খবর পেলুম রমণীবাবু, আজকাল প্ৰায় অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর আপনার শরীরও যে ভালো থাকেন। সে তো স্বচক্ষেই দেখতে পাচি । আপনার আর-বছরের ফটোর সঙ্গে আজ মিল খুজে পাওয়া দায়—এমনি হয়েছে চেহারা। শুনিয়া সবিতা মনে মনে লজ্জা পাইলেন, আমার ফটো আপনি দেখেছেন না কি ? —দেখেচি বই কি । আপনাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রমণীবাবু