শেষের পরিচয় ويا في বিমলবাবু কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন, আশা করি আর বেশি রাগারগি করে যাননি। কাল তিনি সামান্য একটু অপ্রকৃতিস্ত ছিলেন বলেই বোধকরি ও-রকম অকারণ জোর জবরদস্তি করেছিলেন, আজি নিশ্চয়ই নিজের অন্যায় টের পেয়েছেন । সবিতার কাছে কোন জবাব না পাইয়া তিনি বলিতে লাগিলেন, কাল আমার অপরাধও কম হয়নি। সিঙ্গাপুরে যেতে অস্বীকার করার পরেও আপনাকে বারম্বার অনুরোধ করা আমার ভাৱী অনুচিত হয়েছে । নইলে এ সব কিছুই ঘটতোন। তারই ক্ষমা ভিক্ষণ চাইতে আজ আমার আসা । কাল বড় অসুস্থ ছিলেন আজ বাস্তবিক সুস্থ হয়েছেন, না একজনের পরে রাগ করে আর একজনকে শাস্তি দিচ্চেন বলুন তি সত্যি করে ? উত্তর দিতে গিয়া দুজনের চোখাচ্যোখি হইল, সবিতা চোখ নামাইয়া বলিলেন, আমি ভালই আছি । না থাকলেই বা আপনি তার কি উপায় করবেন বিমলবাবু ? বিমলবাবু বলিলেন, উপায় করা তো শক্ত নয়, শক্ত হচ্চে অনুমতি পাওয়া । সেইটি পেতে চাই । --না, সে আপনি পাবেননা । --না পাই, অন্ততঃ রমণীবাবুকে ফোন করে জানাবার হুকুম দিন । আপনি নিজে ত জানাবেননা । து --না জানাবোন । কিন্তু আপনিই বা জানাতে এত ব্যস্ত কেন বলুন ? বিমলবাবু কয়েক মুহূৰ্ত্ত স্তব্ধ হইয়া রহিলেন, তার পরে ধীরে ধীরে কহিলেন, কালকের চেয়ে আজ আপনি যে ঢের বেশি অসুস্থ তা ঘরে পী দেওয়া মাত্রই চোখে দেখতে পেয়েচি,-চেষ্টা করেও লুকোতে পারেননি । তাই ব্যস্ত ।
