পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SC) শেষের পরিচয় কয়েক মুহুৰ্ত্ত নীরবে কাটিলে সবিতা প্রশ্ন করিল, তোমার। এ-পক্ষের স্ত্রীর কি রইলো ? ব্ৰজবাবু বলিলেন, তার নামে পটল-ডাঙায় দুখানা বাড়ী খরিদ করা হয়েছিল তা আছে । আর আছে। গয়না, আছে পচিশ-ত্ৰিশ হাজার টাকার কাগজ। তঁার এবং তঁর মেয়ের চলে যাবে,-কষ্ট হবেন । --রেণুর কি আছে মেজকৰ্ত্তা ? --কিছুনা। সামান্য খানকয়েক গহনা ছিল তাও বোধহয় ভুল করে তঁরা নিয়ে চলে গেছেন । শুনিয়া রেণুর-মা অধোমুখে স্তব্ধ হইয়া রহিল। ব্ৰজবাবু বলিলেন, ভাবচি, রেণু ভাল হ’লে আমরা দেশে চলে যাবে। সেখানে শুধু দয়া করে মেয়েটিকে কেউ যদি নেয় ওর বিয়ে দেবো, তার পরেও যদি বেঁচে থাকি গোবিন্দর সেবা করে পাড়াগায়ে কোনরকমে বাকি দিন কটা আমার কেটে যাবে,- এই ভরসা। কিন্তু সবিতার কাছে কোন উত্তর না পাইয়া তিনি বলিতে লাগিলেন, -একটা মুস্কিল হয়েছে রেণুকে নিয়ে, তাকে রাজি করাতে পারিনি। তাকে তুমি জানন, কিন্তু মে হয়েছে তোমার মতোই অভিমানী, সহজে কিছু বলেন, কিন্তু যখন বলে তার আর অন্যথা করানো যায়না । যেদিন এই বাসাটায় চলে এলাম, সেদিন রেণু বললে, চলে বাবা আমরা দেশে চলে যাই। কিন্তু আমার বিয়ে দেবার তুমি চেষ্টা কোরোনা, আমার বাবাকে একলা ফেলে রেখে আমি কোথাও যেতে পারবোনা । বললাম, আমি তো DD BDB uDSBDB DD D BBDBD DBD DBB BDBD DBD DBDB বল দিকি ? ও বললে বাবা, তুমি ত আমার অদৃষ্ট বদলাতে পারবেন। ছেলেবেলায় মা যাকে ফেলে দিয়ে যায়, যার বিয়ের দিনে অজানা-বাধায় সমস্ত ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়, বাপের রাজসম্পদ যার ভোজবাজীর মতো