পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se সবিতা যতই চাহিলেন কান্না চাপিতে ততই গেল সে শাসনের বাহিরে। ঝান্ধান্ধুব্ধ আপ্রান্ত আলোড়িত সাগর জল কিছুতেই যেন শেষ মানিতে চাহেনা । মেয়েটি কিন্তু সাত্ত্বিনা দিবার চেষ্টা করিলনা, দুৰ্ব্বল ক্লান্ত হাতে যেমন ধীরে ধীরে তরকারি কুটিতেছিল। তেমনি নীরবে কাজ করিতে লাগিল । অবশেষে ক্ৰন্দনের উদামত যদিচ শান্ত হইয়া আসিল কিন্তু মুখের আবরণ সবিতা কিছুতে ঘুচাইতে পারেননা, সে যেন আঁটিয়া চাপিয়া রহিল । কিন্তু এমন করিয়া কতক্ষণ চলে, সকলের অস্বস্তিই ভিতরে ভিতরে দুঃসহ হইয়া উঠিতে থাকে। তাই বোধহয় সারদাই প্ৰথমে কথা কহিয়া উঠিল,-বোধহয় যা” মনে আসিল তাই-বলিল, আজি তুমি কেমন আছে দিদি ? -उठigलों वांछेि । --জন্তুর আর হয়নি ? --না, আমি ত টের পাইনি। -ডাক্তার এখনো আসেননি ? --না, তিনি হয়ত ও-বেলা আসবেন । সারদা একটু ভাবিয়া কহিল, কই, রাখালবাবুকে ত দেখচিনে ? তিনি কি বাড়ী নেই ? --না, তিনি পড়াতে গেছেন । --তোমার বাবা ? --তিনি সকালে বেরিয়েছেন, বলে গেছেন ফিরতে দেরি হবে । সারদার কথা শেষ হইয়া আসিল এবার সে যে কি বলিবে ভাবিয়া