পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় ᏚᏬ8 বসে আছি, মঞ্জুরি এলো বলে। ঘা নিয়েছি যা দিয়েছি তার হিসেব নিকেশ হয়ে গেছে । হিসেব ভালো হয়নি জানি, গোজামিল অনেক রয়ে গেছে, কিন্তু তবু তার জের টানতে আর আমি পারবন । তোমার এ অনুরোধ ফিরিয়ে নাও । সবিতা একদৃষ্টি চাহিয়া শুনিতেছিলেন স্বামীর কথাগুলি, শেষ হইলে শুধু জিজ্ঞাসা করিলেন, সত্যিই কি আর পারবেন। মেজকৰ্ত্ত ? সত্যিই কি বড় ক্লান্ত হয়ে পড়েচো ? --সত্যই বড় ক্লান্ত নতুন-বেী, সত্যিই আর পারবোন। কতো যে ক্লান্ত সে তুমি ছাড়া আর কেউ বুঝবেন ; তারা বলবে আলস্য, বলবে জড়তা, ভাববে আমার নিরাশার হা-হুতাশ। তারা তর্ক করবে, যুক্তি দেবে, মেরে মেরে এখনো ছোটাতে চাইবে-তারা এই কথাটাই কেবল জেনে রেখেচে যে কলে দম দিলেই চলে। কিন্তু তারও যে শেষ আছে। এ তারা বিশ্বাস করতে পারেন । -আমি বিশ্বাস করলে তুমি খুসি হবে ? -খুসি হবো কি না জানিনে কিন্তু শান্তি পাবো। --কি এখন করবে ? --রেণুকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ী যাবে। সেখানে সব গিয়েও যা বাকি থাকবে তাতে কোনমতে আমাদের দিনপাত হবে । আর যারা আমাদের ত্যাগ করে, কলকাতায় রইলো তাদের ভাবনা নেই, সে তো তুমি আগেই ♥öኟርbገ } --রেণুর ভার কাকে দিয়ে যাবে মেজকৰ্ত্তা ? —দিয়ে বাবে ভগবানকে। র্তার চেয়ে বড় আশ্রয় আর নেই, সে আমি জেনেচি । সবিতা স্তব্ধভাবে বসিয়া রহিলেন । ভগবানে তঁহার অবিশ্বাস নাই,