পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ව්ද් শেষের পরিচয় কিন্তু নিজের মেয়ের সম্বন্ধে অতবড় নির্ভরতায় নিশ্চিন্ত হইতেও পারে না । শঙ্কায় বুকের ভিতরটায় তোলপাড় করিয়া উঠিল। কিন্তু, ইহার উত্তর যে কি তাহাও ভাবিয়া পাইলন। শুধু যে-কথাটা তাহার মনের মধ্যে অহরহ কঁাটার মত বিধিতেছিল তাহাই মুখে আসিয়া পড়িল বলিলেন, মেজকৰ্ত্তা, আমাকে টাকাটা ফিরিয়ে দিলে কি আমার অপরাধের দণ্ড দিতে ? প্রতিশোধের আর কি কোন পথ তুমি খুঁজে পেলেন ? ব্ৰজবাবু বলিলেন, না হয় তুমিই নিজে পথ বলে দাও ? আমাদের রতন খুড়ো আর রতন খুড়ীর কথা তোমার মানে আছে ? সে অবস্থায় রাজী আছো ? এত দুঃপেও সবিতা হাসিয়া ফেলিলেন, সলজে কহিলেন, ছিছি কি কথা তুমি বলে ! ব্ৰজবাৰু কহিলেন, তবে কি করতে বলে ? নতুন-বেী গয়না চুরি করে পালিয়েছে বলে পুলিশে ধরিয়ে দেবো ? প্ৰস্তাবটা এত হাস্যকর যে বলা মাত্ৰই দুজনে হাসিয়া ফেলিলেন । সবিতা বলিলেন, তোমার যত সব উদ্ভট কল্পনা । বহুদিন পরে উভয়ের রহস্যোজ্জল একটুকুমাত্ৰ হাসির কিরণে ঘরের: গুমোট অন্ধকার যেন অনেকখানি কাটিয়া গেল। ব্ৰজবাবু বলিলেন, শাস্তির বিধান সকলের এক নয়। নতুন-বীে। দণ্ড দিতেই যদি হয়। তোমাকে আর কি দণ্ড দিতে পারি ? যেদিন রাত্রে তোমার নিজের সংসার পায়ে ঠেলে চলে গেলে সেইদিনই আমি স্থির করেছিলাম আবার যদি কখনো দেখা হয় তোমার যা কিছু পড়ে রইলো ফিরিয়ে দিয়ে আমি অঋণী হবো । সবিতার বিদ্যুদ্বেগে মনে পড়িল স্বামীর একটা কথা যাহা তিনি তখন প্রায়ই বলিতেন। বলিতেন, ঋণ রেখে মরতে নেই, নতুন-বেী,