পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় 88 ow

  • বিমলবাবুর আনন্দসৌম্য মুখে একটা কঠিন বেদনানুভূতির ছায়া নিবিড় হইয়া উঠিল । তিনি একটিও কথা কহিলেননা। অন্য একদিকে দৃষ্টি মেলিয়া স্থিরভাবে দাড়াইয়া ব্লছিলেন। সে দৃষ্টি যেন ইহলোক হইতে লোকান্তরে নিরদিষ্ট ।

'অনেক সময় কাটিয়া গেল। সবিতা অস্থািট মৃদুস্বরে ডাকিলেন, 一砷昭!一 বিমলবাবু ফিরিয়া চাহিয়া স্নেহস্নিগ্ধ গাঢ়কণ্ঠে উত্তর দিলেন, নতুন-ধেী !-- সবিতা হঠাৎ চমকিয়া উঠিলেন। মুখে উদ্বেগ ও বেদনার চিহ্ন ফুটিয়া উঠিল। বিমলবাবুর মুখের পানে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাইয়া সামুনয় কণ্ঠে কহিলেন, একটি কথা বলবো ? বলো, কিছু মনে করবেন ? বিমলবাবু সবিতার কথায় সহসা কোনও উত্তর দিতে পারিলেননা । অল্পক্ষণ নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, নতুন-ৰৌ, আজিও তুমি “কিছু মনে করা”র ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে উপরে উঠতে পারোনি, জানতাম না । কিন্তু থাক্‌ সে কথা, কি বলতে চাও বলো, কিছু মনে করবনা। নতদৃষ্টি সবিতা বলিলেন, তুমি আনাকে নতুন-বীে বলে ডেকোেনা । বিমলবাবু কিছুক্ষণ সবিতার পানে তাকাইয়া থাকিয়া শান্ত স্বরে বলিলেন, তাই হবে । এবার মুখ তুলিয়া বিমলবাবুর পানে চাহিতে দেখা গেল সবিতার সুন্দর চোখ দুটি শিশিরসিক্ত পদ্মপাপড়ির মত অশ্রুভারে টলটল করিতেছে। বিমলবাবুকে কি-একটা কথা বলিতে গিয়া বলিতে পারিলেননা বাধিয়া গেল। বিমলবাবু তাহা লক্ষ্য করিলেন। প্ল্যাটফর্মের উপর হইতে কামরার মধ্যে উঠিয়া আসিয়া সবিতার সামনের বেঞ্চে বসিলেন। তারপরে স্নেহুকোমল অথচ সন্ত্ৰমপূৰ্ণ স্বরে