পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় د?)م তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে তোমার সেবায় বঞ্চিত করলে সে কী নিয়ে বেঁচে থাকবে ? পতিতপাবন, তুমিও কি অবশেষে আমাদের i८९ *ऊि 6म् ब्रूशं ?----- সন্ধ্যাশ্নতির ক্ষণে আরতি করিতে করিতে ব্ৰজবাবু আত্ম-বিস্মৃতি হইয়া পড়েন এই ধরণের ভাবনায় । দক্ষিণ হাতের পঞ্চপ্রদীপ বাম হাতের ঘণ্টা নিশ্চল হইয়া যায়। গণ্ড বাহিয়া অশ্রু গড়াইয়া পড়ে, খেয়াল থাকেন। রেণু ডাকে-বাবাব্ৰজবাবুর চমক্‌ ভাঙ্গে। সলজে ত্ৰস্তহস্তে আবার আরব্ধ। আরতিতে পুনঃপ্রবৃত্ত হন। কখনও বা সংশয় উদ্বেল চিত্তে ভাবেন,-গোবিন্দ, সন্তানস্নেহে অন্ধ হয়ে তোমার প্রতি ত্ৰুটী করে প্রত্যবায়ভাগী হলামনা তো প্ৰভু ! এইরূপ অত্যধিক মানসিক সংঘাতে ব্ৰজবাবু যখন বিপৰ্য্যস্ত-চিন্তু, সেই সময়ে ঘটিল এক দুৰ্ঘটনা। দ্বিপ্রহরে একদিন পূজার ঘর হইতে বাহির হইয়া ব্ৰজবাবু মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া মূচ্ছিতপ্রায় হইলেন। রেণু ভয়ে ও উদ্বেগে কাতর হইলেও স্বভাবগত ধীরতার সহি তই অৰ্দ্ধ-অচেতন পিতাকে জিজ্ঞাসা করিল, বাবা, নবুকাকাকে কিংবা দাদাদের ডাকব কি ? ব্ৰজবাবু অতিকষ্টে শুধু বলিলেন,-রাজুরেণু সেইদিনই রাখালকে আসিবার জন্য টেলিগ্ৰাম করিয়া দিল । গ্রামের চিকিৎসকট মেডিক্যাল কলেজে যষ্ঠ বাৰ্ষিকে এম-বি ফেলে। গ্রামে পশার মন্দ জমে নাই। ব্ৰজবাবুকে পরীক্ষা করিয়া তিনি বলিলেন, মাথায় রক্তের চাপ অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এইরূপ হইয়াছে। সতর্কতা সহকারে শুশ্ৰষা ও চিকিৎসা হইলে এ যাত্ৰা বাচিয়া’ধাইবেন । কিন্তু ভবিষ্যতে পুনরায় এইরূপ ঘটিলে জীবনের আশা অল্পই। এখন হইতে বিশেষ সাবধানত প্ৰয়োজন ।