পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S শেষের পরিচয় । হলে তিনি কিছুতে বলতেননা। আমার বিশ্বাস তিনি আসবেন, এবং ঠিক এগারোটাতেই আসবেন । কিন্তু তখন তোমার আর কোন জবাব থাকবেন । কেন ? কেন কি ? তার এতবড় দুশ্চিন্তাকে অগ্ৰাহ কোরে তুমি একটা পা-ও বাড়াওনি এ কথা তুমি উচ্চারণ করবে। কোন মুখে ? না, সে হবেন। রাখাল, তোমাকে যেতে হবে । রাখাল কয়েক মুহূৰ্ত্ত তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া রহিল, তারপর ধীরে ধীরে বলিল, আমি গেলেও কিছু হবেন তারক। আমার কথা ও-বাড়ীর কেউ কানেও তুলবেন। তার কারণ ? কারণ, পাগল-বরের পক্ষেও যেমন এক মামা কৰ্ত্তা আছেন, কনের দিকেও তেমনি আর এক মামা বিদ্যমান। ব্ৰজবাবুর এ পক্ষের বড়-কুটুম । অতি শক্তিমান পুরুষ । বস্তুতঃ, সে-মামার কর্তৃত্বের বহর জানিনে, কিন্তু এ মামার পরাক্রম বিলক্ষণ জানি। বাল্যকালে পিসিমার অতবড় সুপারিশেও আমাকে নড়াতে পারেনি, কিন্তু এর চোখের একটা ইসারার ধাক্কা সামলানো গেলনা, পুটুলি হাতে বিদায় নিতে হোলো। এই বলিয়া সে একটু হাসিয়া কহিল, ভগবান জুটিয়েছেন ভালো। না ভাই বন্ধু, আমি অতি নিরীহ মানুষ,-ছেলে পড়াই, রাঁধি-বাড়ি, খাই, বাসায় এসে শুয়ে পড়ি । ফুরসুৎ পেলে অবলা সবল নির্বিচারে বড়লোকের ফাই-ফরমাস খাটি-বক্শিশের আশা করিনে—সে সব ভাগ্যবানদের জন্তে। নিজের কপালের দৌড় ভাল কোরেই জেনে রেখেচি,-“ওতে দুঃখও নেই, একরকম সয়ে গেছে। দিন মন্দ কাটেন, কিন্তু তাই ব’লে মল্লভূমি ঘেসে দাঁড়িয়ে মামায়-মামায় কুস্তি লড়িয়ে তার বেগ সম্বরণ করতে পারবোনা। w ولا