পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় RNR, শুনিয়া তারক হাসিয়া ফেলিল ৷ রাখালকে সে যতটা হাক-বোকা । ভাবিত, দেখিল তাহা নয় । জিজ্ঞাসা করিল, দু-পক্ষেই মামা রয়েছে বলে। মল্ল যুদ্ধ বাধবে কেন ? রাখাল কহিল, তাহলে একটু খুলে বলতে হয়। মামা মশায় আমাকে বাড়ীটা ছাড়িয়েছেন, কিন্তু তার মায়াটা আজও ঘোচাতে পারেননি, কাজেই অল্প-স্বল্প খবর এসে কানে পৌছয়। শোনা গেল ভগিনীপতির কন্যাদয়ে শ্যালকের আরামেই বেশি বিঘ্ন ঘটাচে,-এ ঘটকালিও তঁর কীৰ্ত্তি । সুতরাং, এ. ক্ষেত্রে আমাকে দিয়ে বিশেষ কিছু হবেনা, এবং সম্ভবতঃ, কাউকে দিয়েই না। পাকা দেখা, আশীৰ্বাদ, গায়ে-হলুদ পৰ্যন্ত হয়ে গেছে, অতএব এ বিবাহ ঘটবেই। তারক কহিল, অর্থাৎ, ও-পক্ষের মামাকে কন্যার মায়ের কাহিনী । শোনাতেই হবে ; এবং তারপরে ঘটনাটা মুখে-মুখে বিস্তারিত হতেও বিলৰ্থ ঘটুবেনা। এবং, তার অবশ্যম্ভাবী ফল ও মেয়ের ভালো-ঘরে আর दिवशे श्वन । রাখাল বলিল, আশঙ্কা হয় শেষ পৰ্য্যন্ত এমনিই কিছু-একটা দাড়াবে। কিন্তু মেয়ের বাপ তো আজও বেঁচে আছেন ? না, বাপ বেঁচে নেই, শুধু ব্ৰজবাবু বেঁচে আছেন। তারক ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া বলিল, রাখাল, চলোনা একবার যাই বাপটা একেবারেই মরেছে, না লোকটার মধ্যে এখনো কিছু বাকি আছে দেখে আসিগে । তুমি যাবে ? ক্ষতি কি ? বলবে ইনি পাত্রের প্রতিবেশী,-অনেক কিছুই জানেন। রাখাল হাসিয়া বলিল, ভালো বুদ্ধি। প্রথমতঃ, সে সত্যি নয়, দ্বিতীয়তঃ, জেরার দাপটে তোমার গোলমেলে উত্তরে তঁদের ঘোর সন্দেহ হবে তুমি