পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় R8 রাখাল বলিল, দুটােই রে ভাই দুটােই। শুধু তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ শ্রোতার অভিজ্ঞতা ও অভিরুচি সাপেক্ষ । শুনিয়া তারক সত্যই বিস্মিত হইল, কহিল, মেয়েদের সম্বন্ধে তোমার মনে-মনে যে এতটা উপেক্ষ আমি জানতামনা । বরঞ্চ ভাবতাম যে রাখাল তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, ঠিকই ভাবতে ভাই, ঠিকই ভাবতে। এতটুকু উপেক্ষা করিনে। ওঁরা ডাকলেই ছুটে যাই, না। ডাক্‌লেও অভিমান করিনে, শুধু দয়া করে খাটালেই নিজেকে ধন্য মানি । মহিলারা অনুগ্রহও করেন যথেষ্ট, তাদের নিন্দে করতে পারবোন । তারক বলিল, অনুগ্রহ র্যারা করেন তাদের একটু পরিচয় দাওতো শুনি । রাখাল বলিল, এইবারেই ফেললে মুস্কিলে । জেরা করলেই আমি । ঘাবড়ে উঠে। এ বয়সে দেখলাম শুনলাম অনেক, সাক্ষাৎ পরিচয়ও ব?” কম নেই, কিন্তু এমনি বিশ্ৰী স্মরণ-শক্তি যে কিছুই মনে থাকেন। না তঁাদের বাইরের চেহারা না তঁদের অন্তরের। সামনে বেশ কাজ চলে, কিন্তু একটু আড়ালে এলেই সব চেহারা লেপে মুছে একাকার হয়ে যায়। একের সঙ্গে অন্যের প্রভেদ ঠাউরে পাইনে । তারক কহিল, আমরা পল্লীগ্রামের লোক, পাড়ার আত্মীয় প্রতিবেশীর ঘরের দু’চারটি মহিলা ছাড়া বাইরের কাউকে চিনিওনে, জানিওনে। মেয়েদের সম্বন্ধে আমাদের এই তো জ্ঞান। কিন্তু এই প্ৰকাণ্ড সহরের কত নতুন, কত বিচিত্র- േർ রাখাল হাত তুলিয়া থামাইয়া দিয়া বলিল, কিছু চিন্তা কোরোনা তারক, আমি হদিশ বাৎলে দেব। পাড়াগায়ের বলে যাদের অবজ্ঞা । কোরচ কিম্বা মনে মনে র্যাদের সম্বন্ধে ভয় পাচ্চো তাদেরকেই সহরে এনে পাউডার রুজ প্রভৃতি একটু চেপে মাখিয়ে মাস দুই খানকয়েক বাছা