পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sao বিমলবাবু সিঙ্গাপুর হইতে কলিকাতায় ফিরিয়াছেন। তারকের পত্রে সবিতার শারীরিক কৃচ্ছসাধনের সংবাদ পাইয়া তাঙ্গাকে লিখিয়াছিলেন, “তোমাদের নতুন-মা নিজে যাহা করিয়া তৃপ্তি পান, তাহাতে আমাদের বাধা দেওয়া সঙ্গীত নয় ।” তারক এই পত্ৰ পাইয়া একরূপ বাচিয়াই গেল। কারণ, নূতন আইন-প্র্যাকটিস লইয়া সে অহরহ ব্যস্ত, অন্যদিকে মনোযোগ দিবার মত অবকাশ এখন তাহার নিতান্ত সঙ্কীর্ণ । নতুন-মার স্নানাহারের নিত্য অনিয়ম, উপবাস ও পরিশ্রমের কঠোর অত্যাচার, কোনো কিছুর জন্যই সে আর এখন একটিও শব্দ উচ্চারণ করেন। গম্ভীর মুখে ও যথাসম্ভব নীরবে নিজের স্নানাহার সম্পন্ন করিয়া বহির্বাটীতে চলিয়া যায় । সবিতা হাসেন । একদিন কাছে ডাকিয়া বলিলেন, তারক, মায়ের উপর রাগ করেছ বাবা ? মুখ অন্ধকার করিয়া তারক জবাব দিল, সে অধিকার তো আমার নেই নতুন-মা। আমি একজন পথের কাঙাল বইতো নয় । , সবিস্তৃতা সস্নেহে বলেন, ছি, ওকথা বলতে নেই । তারক আরও গোটাকিয়েক বঁকা বাকা কথা ঠেস দিয়া শুনাইয়া দিতে উদ্যত হইয়াছিল, কিন্তু সারদকে আসিতে দেখিয়া সরিয়া পড়িল । সে ভালই জানে, নতুন-মা কিছু না বলিলেও সারদা ইহা সহ্য করিবেন। এমন অনেক অপ্রিয় সত্য হয়তো এখনই অসঙ্কোচে সুস্পষ্ট বলিয়া বসিবে,