পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় 8 IV কল श्रुक्मिांत्र রেখায় রেখায় বিকশিত হইয়া উঠিতেছে আজ এমন একটি সুচী সুদূর অথচ সন্ত্রমসূচক অভিব্যক্তি, যাচাতে স্নেহ ও শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ူဖါး সম্মিলিত ব্যঞ্জন, অত্যন্ত সুস্পষ্ট। নবীর এ মুঠি ংসারে একান্তই দুর্লভদর্শন। বিমলবাবুর বহুবিচিত্র জীবনেও এমনটি তিনি আর কোথাও দেখেন নাই । m সবিতার মহিমময়ী মূৰ্ত্তির পানে চাহিয়া, আজ সর্বপ্রথম বিমলবাবুর মনে ইল, তিনি এ জগতে ষে-স্তরের মানুষ, সবিতা তাঙ্কার অনেক উর্দুলোকের অধিবাসিনী। মানবজীবনের যে অন্তরতম অনুভূতি, চরম দুৰ্য্যোগের মধ্যে প্রত্যক্ষ উপলব্ধ যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, দুঃখের দুর্গামপথে বিক্ষতিগ্ৰন্দ-যাত্রীর ধু ভূয়োদর্শন আজ তঁহার অন্তর-বাহিরু ঘিরিলা এমন একটি মহিমাকে রূপায়িত করিয়া তুলিয়াছে, যাহাকে শুধু যথেষ্ট ব্যবধান হইতে মাগা ৩ কািরয়া প্ৰণাম করাই চলে, পাশে যাইয়া দাড়ানো চলেন । বিমলবাবুর এই অভিভূত ভাব লক্ষ্য করিয়া সবিতা মনে মনে কুষ্ঠিত ইলেও সহজ মুখেই সম্ভাষণ করিলেন, কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবে, বোসে । ধিনীলবাবু নিঃশব্দে নির্দিষ্ট চেয়ারে বসিয়া পড়িলেন বটে, কিন্তু তখনও বিতার পানে অপালক নয়নে তাকাইয়া রহিলেন । তাহার সে চাহনিতে মাজ আর বিমুগ্ধের বিহবল আকুলত নাই, আছে অনুরাগীর সশ্রদ্ধ বিস্ময়। এ যেন বাঞ্জিত দেবমূৰ্ত্তির প্রতি ভক্তের বন্দনা-সুন্দর সন্দর্শন । সবিতা সঙ্কুচিত হইয়া বলিলেন, একদৃষ্টি চেয়ে দেখচ কি ? —তোমাকেই দেখচি । -আমাকে কি কখনও দেখনি ? -আজকের তোমাকে সত্যিই কখনাে দেখিনি। যাকে দেখেছি সে ६ जूभि न७ । -সে কোন আমি দয়াময় ?