পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SEĜO শেষের পরিচয় বিমলবাবু মৃদুকণ্ঠে কহিলেন, মানুষ মানুষই। দেবতা তো নয়। তার সমস্ত্ৰ তালুখন্দ, দোষ গুণ, বলিষ্ঠত দুর্বলতা নিয়েই তার সমগ্র রূপ । সুতরাং/ঠার উপয়ৈ কি এতটা বেশি বিশ্বাস द्रi% जक्रउ ? -কী সঙ্গত। আর কি অসঙ্গত জানিনে,* বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে জানতে চাইওনে । যা” নিজের অন্তরে বুyমধ্যে একান্তভাবে অনুভব করেচি তাই বললাম মাত্ৰ । ܝ V বিমলবাবু বলিলেন, তোমার সংস্পkখ এসে_র্ল, আমার লাভ হয়েচে জানো সবিতা ? আমি সর্বপ্রথম অনুভব কেঠাঁট, कोनाcभन्न डिङद्र দিয়েও পরম কল্যাণ এসে জীবনকে স্পৰ্শ কৰ্পে সবিতা বলিলেন, মানি এ কথা আমি । অকল্যাণের পথেই আমার দীর্ঘ চলার ক্লান্ত সাঝে তোমার সঙ্গে হয়ে ছিল। হঠাৎ সাক্ষাৎ ৷ হয়েছিল বিরুদ্ধ আবেষ্টনের মধ্যে অবাঞ্জিত পরিচয় । ভাগ্যে জোর করে। সেদিন দেখতে এসেছিলে আমাকে । , বিমলবাবু আহত হইয়া অকৃত্রিম দুঃখিত স্বরে বলিলেন, এ ধারণা তোমার সত্য নয় সবিতা। জীবনের অজ্ঞাতপথে মানুষের সাথে মানুষের নিবিড় পরিচয় কবে কোনদিন কোথা দিয়ে কেমন করে ঘটে যায়, কেউই জানেন । ... কথাটা আমি আমার নিজের দিক থেকেই বলেছিলাম । এতদিন নিজের অতীতের অপরিচ্ছন্ন অংশটার পানে তাকিয়ে হয়েছে বিতৃষ্ণা, এসেছে ঘূণা, ক্ষোভ, লজ্জা । কতবার ভেবেচি, জীবনের অশুচি আ “বৈসুক যদি কোনও উপায়ে ধুয়ে সাদা করে ফেলা যেতো ! ছিড়ে নিশ্চি : করা যেতো স্মৃতির খাতা থেকে ঐ গ্লানিময় দিনগুলির পৃষ্ঠা । কিন্তু “ মাজ সর্বপ্রথম মনে হচ্চে, ভগবান মঙ্গলই করেছেন, ঐ দিনগুলির দুরূপ fা কালির দাগ একে দিয়ে এই জীবনে । } - চ সবিতা মুখ উচু করিয়া বলিলেন, তার মানে ? γξυ