পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় రీ রাখাল বলিল, চোখ-কান তো তঁর আর নেই মা । তিনি দেখেন মামাবাবুর চোখে, শোনেন গিয়ীর কানো । আমি জানি এ বিয়ের সম্বন্ধ ऊँiब्रांई (कiशक्षम । কৰ্ত্তা। তবে কি করেন ? যা’ চিরদিন করতেন,-সেই গোবিন্দজীর সেবা। এখন শুধু তার উগ্রতা বেড়ে গেছে শতগুণে । দোকানে যাবারও বড় সময় পাননি । ঠাকুর-ঘর থেকে বার হতেই বেলা পড়ে আসে। তবে বিষয় আশয়, কারবার, ঘর-সংসার দেখে কে ? কারবার দেখেন মামা, আর সংসার দেখেন তঁর মা-অৰ্থাৎ শাশুড়ী । কিন্তু আমাকে জিজ্ঞাসা করে লাভ কি বলুন, কিছুই আপনার অজানা নয়। একটু থামিয়া বলিল, আমরা আজও ঘাবো সত্যি, কিন্তু তার নিশ্চিত পরিণামও আপনার জানা নতুন-মা। নতুন-মা চুপ করিয়া রহিলেন, শুধু মুখ দিয়া একটা চাপা দীর্ঘনিশ্বাস পড়িল ৷ বোধহয় নিরুপায়ের শেষ মিনতি । হঠাৎ শোনা গেল বাহিরে কে-যেন জিজ্ঞাসা করিতেছে, ওহে ছেলে, এইটি কি রাজুবাবুর ঘর ? বালক-কণ্ঠে জবাব হইল, না মশাই, রাখালবাবুর বাসা। হী হী, তাকেই খুঁজচি, এই বলিয়া এক প্রৌঢ় ভদ্রলোক দ্বার ঠেলিয়া, ভিতরে মুখ বাড়াইয়া বলিলেন, রাজু আছো ? বাঃ-এই তো হে ! রাখালের প্রতি চোখ পড়িতেই সরল স্নিগ্ধ হস্যে গৃহের মাঝখানে আসিয়া দাড়াইলেন, বলিলেন, ভেবেছিলাম বুঝি খুঁজেই পাবোনা। বাঃদিব্যি ঘরটিতে । হঠাৎ শেলফের ঈষৎ অন্তরালবৰ্ত্তিনী মহিলাটির প্রতি দৃষ্টি পড়ায় একটু বিব্রত বোধ করিলেন, পিছু হঁটিয়া দ্বারের কাছে আসিয়া কিন্তু স্থির হইয়া