পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় سجاوند – তারক, চায়ে চুমুক দিতে দিতে দিতে স্থাকিল,-শিবুর মা-এদিকে स्4gन्म श्i७.- ঝি আসিলে রাখাল বলিল, বাড়ীর ভিতরে গিয়ে বলো, রাজুবাবু আরও খানকয়েক কচুরী খেতে চাইছেন। ঝি চলিয়া গেল। তারক খাইতে খাইতে হাসিয়া বলিল, রাজুবাবু খানকয়েক কচুরী খেতে চাইছেন শুনলে এখনি এক ঝুড়ি কচুরী এসে পড়বে কিন্তু বাড়ীর ভিতর থেকে । রাখাল দ্বিতীয় পেয়ালা চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলিল, আর তারকাবাবু খেতে চেয়েছেন শুনলে একগাড়ী, কচুরী আসবে বোধ হয় ? -কচুরীর “ক’ও আসবে না ! শুধু সংবাদ আসবে, ফুরিয়ে গেছে। বাজার থেকে গরম কচুরী এখুনি কিনে আনিয়ে দেওয়া হচ্চে। একটু অপেক্ষা করতে হবে । রাখাল হাসিয়া ভ্ৰকুট করিল। বলিল,-তাই নাকি ? তারক বালিল--একটুও বাড়িয়ে বলিনি। A আধঘোমটা টানা প্ৰৌঢ়ী দাসী শিবুর মা অহেতুক অতি-সঙ্কোচে জড়সড় হইয়া এক প্লেট গরম কচুরী আনিয়া রাখালের সামনে ধরিয়া দিল । তারক হাসিয়া বলিল, দেখলে তো ? একেবারে ডজন হিসেবে এসে গেছে । রাখাল মৃদু হাসিয়া শিবুর মাকে উদ্দেশে করিয়া বলিল, আমি তো রাক্ষস নই বাছা । এতগুলো কচুরী এনেছ কেন ?--তা” এনেছে। যখন, খাচ্চি সবগুলিই। কিন্তু, কচুরি তুমি বাপু ভালো তৈরি করতে প্লারোনি, বুঝলে ? যা’ ঝাল দিয়েছ'-পেটের ভিতর পর্য্যন্ত জ্বালা করছে। একটু ঝালটা কম দিলেই ভালো করতে।-- শিবুর মা অবগুণ্ঠনটি আরও খানিক টানিয়া লজ্জায় মাথা হেঁট করিয়া অঙ্কুট কণ্ঠে কহিল,-কচুরী ত” আমি তৈরি করিনি। দিদিমণি করেছেন। V